রাস্তার ভিখারিনীকে ভালোবাসে বিয়ে করলেন কানপুরের এক যুবক

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG-20200527-WA0039

এই লকডাউনের মধ্যে জীবন সঙ্গিনী খুঁজে পাওয়া যথেষ্ট ঝক্কির ব্যাপার। শুধু তাই নয়, কথাতেই আছে জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে যতক্ষণ না উপরওয়ালা চাইছেন ততক্ষণ হয় না। উত্তরপ্রদেশের এক যুবক যিনি পেশায় একজন গাড়ী চালক, এই লকডাউনের সময় তিনি রাস্তার ধারে গরীব মানুষের মুখে তুলে দিচ্ছেন খাবার। প্রতিদিন খাবার তুলে দিতে দিতে পথবাসিনী এক নারীর প্রেমে পড়েন। তার নাম নিলাম। যে একটি ব্রিজের তলায় ফুটপাতে অন্যান্য ভিক্ষুকদের সঙ্গে বসে রোজ খাবারের জন্য অপেক্ষা করতো।

অনিল, নামের এই যুবক তাকে রোজ খাবার দিতেন। এই খাবার দিতে দিতেই প্রেমের শুরু। নিলামের বাবা অনেকদিন আগেই মারা গেছেন। মা স্ট্রোকের কারণে ভুগছেন। যার জন্য তার ভাই তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। তাই বেঁচে থাকার জন্য একটু খাবারের আশায় তিনি এই ভিক্ষাবৃত্তিকে বেছে নিয়েছেন। একদিন সেই দিনটি আসে, যেদিন অনিল নিজের মনের কথা কে আর মনের কোণে চেপে রাখতে পারেননি, নিলামকে তার ভালোবাসার কথাটা জানিয়েই দেয়। শুধু ভালোবাসাই নয়, এই ভালোবাসাকে বাস্তবে রূপও দিয়েছেন অনিল। লকডাউন এর সমস্ত নিয়ম মাথায় রেখে একটি ভগবান বুদ্ধের আশ্রমে চার হাত এক হয়। বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন অনিল এবং নিলাম।

অনেক সময় এমন খবরও দেখা যায়, পথবাসী নারীরা কামুক পুরুষের দ্বারা অত্যাচারিত হয়েছেন। অসহায় নারী কখনো মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছেন কিংবা কখনো লজ্জা মাথায় করে নিয়ে সমাজে কোনো রকমে টিঁকে রয়েছেন। কিন্তু অনিল নিলামকে বিয়ে করে মানবিকতার এক অসাধারণ নজির গড়ে তুলেছেন। যা সত্যিই প্রশংসনীয়। তার এই ভালোবাসাকে নিছক খেলা হিসাবে না নিয়ে রূপ দিয়েছেন বিবাহে। সমাজের চোখে নিলাম ও একটি সামাজিক জায়গা পেয়েছে। অসহায় মেয়ে বলে তাকে যে সমাজ করুণার চোখে দেখতো, আজ সে অনিল এর বিবাহিতা স্ত্রী।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর