নন্দীগ্রামে আব্বাস সিদ্দিকীর প্রার্থী, সমর্থন দেবে বাম কংগ্রেস

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG_20210223_220752

নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে বিধানসভায় ওই কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই আসনটি আব্বাস সিদ্দিকির দলকে বামেরা ছেড়ে দিল বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। নন্দীগ্রামে প্রার্থী দিতে চলেছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। তার জেরে এক ধাক্কায় বদলে যাচ্ছে নন্দীগ্রামের ভোটের অঙ্ক।        

দক্ষিণবঙ্গে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোটের আসন রফা চূড়ান্ত। তারপরই এল বড় চমক। ১৯৫১ সাল থেকে নন্দীগ্রাম আসনে বামেদের ফলাফল ঈর্ষণীয়। সেই ধারায় এবার ইতি পড়তে চলেছে বলে মনে হচ্ছে। সূত্রের খবর, ভোটের কৌশল হিসেবে আসনটি আব্বাস সিদ্দিকিকে ছেড়ে দিতে চলেছে সিপিআই। নন্দীগ্রামে প্রায় ৪০ শতাংশ সংখ্যালঘুর বাস। ফলে, আইএসএফ প্রার্থী দিলে তা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। নন্দীগ্রামে ৯বার জিতেছে সিপিআই। সিপিএম ১ বার। কংগ্রেস ৬ বার জিতেছে। ২০০৯ সালের উপনির্বাচন থেকে নন্দীগ্রামে জিতে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস।

সেই আসনটি কেন আইএসএফ-কে ছেড়ে দিচ্ছে বামেরা, উঠছে প্রশ্ন। এর নেপথ্যে রয়েছে সংখ্যালঘু ভোটের অঙ্ক। নন্দীগ্রামে প্রায় ৪০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট। ওই ভোট যে নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়াতে পারে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর ভাষণে। ওই সভায় বিজেপি নেতা শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘পদ্ম তো ২ লাখ ১৩ হাজারের ভরসায়। যাঁরা জয় শ্রী রাম বলেন, তাঁরাই ২ লক্ষ ১৩ হাজার। ৬২ হাজারেও সিঁধ কাটব।’ আইএসএফ নন্দীগ্রামে প্রার্থী দিলে নানা প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। আইএসএফ কি সংখ্যালঘু ভোটভাগে সক্ষম হবে? তার ডিভিডেন্ড জোট না পেয়ে কি বিজেপি পাবে? সেই ইঙ্গিত দিয়ে Zee ২৪ ঘণ্টাকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান,’ভোট কেটে বিজেপির সুবিধা করে দেওয়ার চেষ্টাও কেউ কেউ করতে পারেন।’             

নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার পর সেখানে সভা করেন মমতা। আর ওই সভাতেই তৃণমূল নেত্রী ঘোষণা করেছেন, এবার নন্দীগ্রামে প্রার্থী হবেন। তারপর থেকেই বিজেপি রণংদেহি। মমতাকে আধ লাখ ভোটে হারানোর হুঙ্কার দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি নেতারাও আকছার বলছেন,’ভবানীপুরে হারবেন বলেই নিরাপদ আসন খুঁজে বেড়াচ্ছেন। শুভেন্দুও চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন, ‘শুধুমাত্র নন্দীগ্রামেই দাঁড়াতে হবে মাননীয়াকে।’   

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর