বাপের ব্যাটা হলে ভোট শেষের আগে জয় সিয়া রাম বলিয়ে ছাড়বো, অমিতকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG_20210213_171913

নিউজ ডেস্ক : রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব উন্নয়নকে হাতিয়ার না করে মূলত মুসলিম বিরোধিতা পূর্ণ সাম্প্রদায়িকতাকে মূলধন করে এগিয়ে যেতে চাইছিল। আর সেই কৌশলের মূল চালিকাশক্তি ছিল জয় শ্রীরাম স্লোগান। তবে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবার তার পাল্টা জবাব বের করে নিয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ইতিমধ্যে মমতা ব্যানার্জি জয় শ্রীরাম স্লোগান এর পরিবর্তে জয় সিয়া রাম স্লোগান ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছেন। এই শ্লোগান ব্যবহারের ফলে বিজেপির জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হিন্দুত্বের স্লোগান আর দিয়ে হবে না তৃণমূল কংগ্রেসকে। আবার হিন্দুত্ববাদীদের সেই অভিযোগ থেকেও মুক্তি পাবে তৃণমূল কংগ্রেস যে, এরা হিন্দু বিরোধী।

কয়েকদিন আগে কোচবিহারে জনসভা থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা অমিত সাহা বলেছিলেন নির্বাচন শেষ হওয়ার পর মমতা ব্যানার্জির জয় শ্রীরাম স্লোগান দেবেন। কিন্তু আজ তার জবাব দিলেন তৃণমূলের যুব মোর্চার সভাপতি এবং ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আজ বলেন, “যদি বাপের ব্যাটা হয়ে থাকে তাহলে ওদের ভোট শেষ হওয়ার আগেই জয় সিয়ারাম বলিয়ে ছাড়বো।”

এ দিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’জয় শ্রী রাম না বলে জয় সিয়া রাম বলুন। আগে সীতা পরে রাম। বলার ক্ষমতা আছে? প্রতিটি সভায় বলুন দেখি। বিজেপি নেতাদের চ্যালেঞ্জ করছি, জয় সিয়া রাম বলে সভা শুরু করুন। ওরা তা করবে না। কারণ মহিলাদের সম্মান দেয় না।’ তিনি আরও বলেন,’যদি বাপের বেটা হই, তোমাদের দিয়ে জয় সিয়া রাম বলিয়ে ছাড়ব। মহিলাদের সম্মান দিতে হবে।’ 
 
জয় শ্রী রাম নিয়ে বিতর্কে মমতার (Mamata Banerjee) গায়ে তোষণের তকমা সেঁটে দিতে চাইছে গেরুয়া ব্রিগেড। কোচবিহারের সভায় গেরুয়া নেতা অমিত শাহ সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন, ‘বাংলায় এমন পরিবেশ তৈরি করেছেন, যেন জয় শ্রী রাম বলা অপরাধ! আরে দিদি জয় শ্রী রাম এখানে বলবে না তো কি পাকিস্তানে বলবে? জয় শ্রী রামে কেন অপমানিত বোধ করেন আপনি? গোটা দেশ, এমনকি দুনিয়াজুড়ে কোটি কোটি মানুষ আমাদের আরাধ্য শ্রী রামকে স্মরণ করে গৌরবান্বিত হন। আর আমি একটা সম্প্রদায়ের ভোটের জন্য তোষণ করছেন। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি ভোটের আগেই মমতা দিদিও জয় শ্রী রাম বলতে শুরু করবেন।’

তবে রাজ্যে বিজেপি যে সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে এখন আর একা নয় সেটা বেশ বোঝা যাচ্ছে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে। বিজেপি এখন শুধু চাইলেই তৃণমূল কংগ্রেসকে সাম্প্রদায়িকতা তোষণ হিন্দুত্ববাদ ইত্যাদি ব্যবহার করে কোণঠাসা করতে পারবে না, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। তবে শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধে কোন শিবির শেষ হাসি হাসে সেটাই এখন দেখার।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর