বাংলাতে ধর্মীয় বিদ্বেষ, ব্যাঙ্কে বোরখা নিষিদ্ধের ফতোয়া! নির্দেশিকা জারি হুগলী জেলার চন্ডীতলার স্টেট ব্যাঙ্কে

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG-20201107-WA0098

সাইফুদ্দিন মল্লিক : ২০১৪ সালের পর, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আমলে বা প্রধানমন্ত্রী মোদি জমানাতে সারা ভারত জুড়ে মুসলিম ও দলিত সম্প্রদায়ের উপর ধর্মীয় নিপীড়ন এবং দৈহিক অত্যাচার, হত্যা শুরু হয়েছে। সেই অত্যাচারের ও হত্যার গ্রাফ বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন দেশের যে কোন প্রান্তে হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। মোদি সরকারের আমলে ধর্মীয় ভাবে মুসলিমদের হেনস্থা করা হচ্ছে দেশজুড়ে। আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ব্যতিক্রম ছিল বলা যায়। কিন্তু সেই বাংলাতে প্রবেশ করেছ গো-বলয়ের রাজনীতি ও ধর্মীয় বিদ্বেষ। মুসলিম মেয়েরা ব্যাঙ্কে বোরখা পরে ঢুকতে পারবেনা এমন নোঠিশ দেওয়া হয়েছে।

বোরখা পরে ব্যাঙ্কে প্রবেশ নিষেধের ফতোয়াটি হুগলীর চন্ডিতলা থানার কুমিরমোড়ার স্টেট ব্যাঙ্কের শাখাতে। এখানে পোস্টার দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে বোরখা পরে আসা যাবে না। আজ জৈনক( নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) সচেতন ব্যক্তি ব্যাঙ্কে গেলে দেখতে পান সেই ছবি ও নির্দেশিকা। তিনি বিষয়টি নিয়ে ব্যাঙ্কের কয়েকটি কর্মীর সাথে আলোচনা করেন। তারা বলেন এটা বেশ কয়েকমাস থেকে দেওয়া হয়েছে। আমাদের ব্যাঙ্কে মোবাইল চালু রেখে ও বোরখা পরে মুসলিম মেয়ে প্রবেশ বিষেধ।

খোঁজ নিয়ে যানা যায়, কোন মহিলা বোরখা পরে প্রবেশ করলে তার বোরখার মুখ খুলতে বলা হয়। কেহ না খুলিলে তাঁকে ব্যাঙ্কের কাজ করতে দেওয়া হয়না। টাকা তোলার মূল বিষয় সই বা সিগনেচার। কিন্তু এখানে কেহ বোরখা পরে টাকা তুলতে আসলে তার মুখ না দেখে টাকা দেওয়া হয়না। যানা গিয়েছে এখানের ম্যানেজার মহিলা।

গতমাসে উত্তর প্রদেশে পুলিশ ইনস্পেক্টর ইন্তেজার আলিকে দাড়ি রাখার কারনে সাসপেন্ড করা হয়। যদিও তিনি উপর মহলে চিঠি দিয়ে ছিলেন দাড়ি রাখা নিয়ে। অবশেষ দাড়ি কেটে কাজে যুক্ত হতে হয়। সংবিধানে সকল ব্যক্তির নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার দেওয়া থাকলেও মোদি সরকারের আমলে মুসলিমদের বাঁধা দেওয়া হচ্ছে ধর্মীয় রীতিনীতি পালনে। শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ দাড়ি ও পাগড়ি পরে প্রসাশনের সকল কাজ করছেন, কিন্তু মুসলিমদের পালন করতে দেওয়া হয়না। দুঃখের বিষয় প্রধানমন্ত্রী দাড়ি রেখে দেশ পরিচালনা করছেন। একজন মুসলিম পুলিশ অফিসার দাড়ি রাখতে পারে না !!

বিজেপির নবান্ন অভিযানে বেআইনি অস্ত্র হাতে ধরা পড়েন বলবিন্দর সিং। ধরার সময় অসাবধানতাতে তার মাথার পাগড়ি খুলে যায়, সেই নিয়ে রাজ্য রাজনীতি থেকে সমগ্র দেশে বাংলার সরকারকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। ক্রিকেটা ও সেলিব্রেট হরভজন সিং, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল ধনকড় এবং বিজেপির ছোট-বড়ো নেতৃত্ব সকলেই মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন, এবং জবাবদিহি চেয়েছেন। সরকারি ব্যাঙ্কে বোরখা পরে প্রবেশ করা যাবে না, এটা বিষয়ে শিখ ভাইয়ের পাগড়ি খুলে যাওয়ার মতো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাবে ? নাকি মুসলিম বলে সকলে চুপ থাকবেন!

সাইফুদ্দিন মল্লিক : ২০১৪ সালের পর, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আমলে বা প্রধানমন্ত্রী মোদি জমানাতে সারা ভারত জুড়ে মুসলিম ও দলিত সম্প্রদায়ের উপর ধর্মীয় নিপীড়ন এবং দৈহিক অত্যাচার, হত্যা শুরু হয়েছে। সেই অত্যাচারের ও হত্যার গ্রাফ বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন দেশের যে কোন প্রান্তে হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। মোদি সরকারের আমলে ধর্মীয় ভাবে মুসলিমদের হেনস্থা করা হচ্ছে দেশজুড়ে। আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ব্যতিক্রম ছিল বলা যায়। কিন্তু সেই বাংলাতে প্রবেশ করেছ গো-বলয়ের রাজনীতি ও ধর্মীয় বিদ্বেষ। মুসলিম মেয়েরা ব্যাঙ্কে বোরখা পরে ঢুকতে পারবেনা এমন নোঠিশ দেওয়া হয়েছে।

বোরখা পরে ব্যাঙ্কে প্রবেশ নিষেধের ফতোয়াটি হুগলীর চন্ডিতলা থানার কুমিরমোড়ার স্টেট ব্যাঙ্কের শাখাতে। এখানে পোস্টার দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে বোরখা পরে আসা যাবে না। আজ জৈনক( নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) সচেতন ব্যক্তি ব্যাঙ্কে গেলে দেখতে পান সেই ছবি ও নির্দেশিকা। তিনি বিষয়টি নিয়ে ব্যাঙ্কের কয়েকটি কর্মীর সাথে আলোচনা করেন। তারা বলেন এটা বেশ কয়েকমাস থেকে দেওয়া হয়েছে। আমাদের ব্যাঙ্কে মোবাইল চালু রেখে ও বোরখা পরে মুসলিম মেয়ে প্রবেশ বিষেধ।

খোঁজ নিয়ে যানা যায়, কোন মহিলা বোরখা পরে প্রবেশ করলে তার বোরখার মুখ খুলতে বলা হয়। কেহ না খুলিলে তাঁকে ব্যাঙ্কের কাজ করতে দেওয়া হয়না। টাকা তোলার মূল বিষয় সই বা সিগনেচার। কিন্তু এখানে কেহ বোরখা পরে টাকা তুলতে আসলে তার মুখ না দেখে টাকা দেওয়া হয়না। যানা গিয়েছে এখানের ম্যানেজার মহিলা।

গতমাসে উত্তর প্রদেশে পুলিশ ইনস্পেক্টর ইন্তেজার আলিকে দাড়ি রাখার কারনে সাসপেন্ড করা হয়। যদিও তিনি উপর মহলে চিঠি দিয়ে ছিলেন দাড়ি রাখা নিয়ে। অবশেষ দাড়ি কেটে কাজে যুক্ত হতে হয়। সংবিধানে সকল ব্যক্তির নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার দেওয়া থাকলেও মোদি সরকারের আমলে মুসলিমদের বাঁধা দেওয়া হচ্ছে ধর্মীয় রীতিনীতি পালনে। শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ দাড়ি ও পাগড়ি পরে প্রসাশনের সকল কাজ করছেন, কিন্তু মুসলিমদের পালন করতে দেওয়া হয়না। দুঃখের বিষয় প্রধানমন্ত্রী দাড়ি রেখে দেশ পরিচালনা করছেন। একজন মুসলিম পুলিশ অফিসার দাড়ি রাখতে পারে না !!

বিজেপির নবান্ন অভিযানে বেআইনি অস্ত্র হাতে ধরা পড়েন বলবিন্দর সিং। ধরার সময় অসাবধানতাতে তার মাথার পাগড়ি খুলে যায়, সেই নিয়ে রাজ্য রাজনীতি থেকে সমগ্র দেশে বাংলার সরকারকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। ক্রিকেটা ও সেলিব্রেট হরভজন সিং, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল ধনকড় এবং বিজেপির ছোট-বড়ো নেতৃত্ব সকলেই মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন, এবং জবাবদিহি চেয়েছেন। সরকারি ব্যাঙ্কে বোরখা পরে প্রবেশ করা যাবে না, এটা বিষয়ে শিখ ভাইয়ের পাগড়ি খুলে যাওয়ার মতো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাবে ? নাকি মুসলিম বলে সকলে চুপ থাকবেন!

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর