নির্বাচনের আগে এবার গেরুয়া শিবির ত্যাগ BPF এর , আসামে ভীষন চাপে বিজেপি

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

52bae71c4256

নিউজ ডেস্ক : এমনিতেই আসামে বদরুদ্দীন আজমলের দল, কংগ্রেস সহ মোট ছয় টি রাজনৈতিক দলের মহাজোটের ফলে ইতিমধ্যেই প্রবল চাপ রয়েছে আসাম বিজেপি। তার ওপর এবার অসমে বড় ধাক্কা খেল গেরুয়া শিবির। ভোটের মুখে বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাল বোরোল্যান্ড পিপিলস ফ্রন্ট (‌বিপিএফ)‌। শনিবারের দলের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে সেকথা।
ফেসবুকে লেখা বিবৃতিতে বিপিএফ নেতা হাগরামা মহিলারি বলেন, ‘‌অসমে শান্তি, একতা ও উন্নয়নের জন্য কাজের লক্ষ্যে এবং দুর্নীতিমুক্ত স্থিতিশীল সরকার গড়তেই মহাজোটে সামিল হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিপিএফ। আজকের পর থেকে বিজেপির সঙ্গে জোটে থাকবে না দল। ‌আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মহাজোটের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়েই কাজ করবে বিপিএফ।’‌

গত নির্বাচনে ১২টি আসন জিতে বিজেপির জোটে সামিল হয়েছিল বোরোল্যান্ড পিপিলস ফ্রন্ট। ঠিক তার আগেই বোরোল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল (‌বিটিসি)–এর নির্বাচনে বিপিএফ–এর হাত ছেড়ে একা লড়েছিল বিজেপি। যদিও চলতি মাসের শুরুতেই অসমের অর্থমন্ত্রী এবং কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা বিপিএফ এর মনোভাব বুঝতে পেরে বিজেপির মুখ রক্ষায় জানিয়েছিলেন, বিধানসভায় বিপিএফ–এর সঙ্গে জোট করবে না বিজেপি। বলেছিলেন, ‘‌আমরা বারবার বলে আসছি,  ‌স্রেফ পাঁচ বছরের জন্য জোটের কথা হয়েছিল। তবে তারা এখনও আমাদের সঙ্গে সরকারে আছে।’‌ আসামে এবং এর কারণে বিজেপির রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা এবং মোদির মতো নেতাদের জনপ্রিয়তা তলানিতে। সেটা বুঝেই হেমন্ত শর্মা বলেছেন,NRC প্রক্রিয়া ভুল ছিল। দোষ চাপিয়ে ছিলেন আসামে NRC সমন্বয়ক প্রতীক হাজেলার ওপর। সাম্প্রদায়িক তাস খেলার জন্য বেশ কয়েকটি উস্কানিমূলক বক্তব্য দিতে দেখা গিয়েছে হেমন্তকে। মিয়া মুসলিমদের ভোট লাগবে না, কংগ্রেস আসামের সংস্কৃতি বিরোধী জোটে শরিক হয়েছে ইত্যাদি। কিন্তু এই সব কোনো কিছুতেই এখন কাজ হচ্ছে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর