নিউজ ডেস্ক : সারা দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে খুবই দ্রুত গতিতে। ইতিমধ্যেই নিত্যদিনের নতুন সংক্রমনের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে এক লক্ষ। কিন্তু তার মধ্যেও চারটে রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিধানসভা নির্বাচনে উপলক্ষে জোর কদমে রাজনৈতিক প্রচারণা চালিয়েছে শাসক দল বিজেপি সহ অন্যান্য সব রাজনৈতিক দল। যেখানে মানা হয়নি সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পরিধান ইত্যাদির মত কোনো করোনা বিধি। এমনকি প্রধানমন্ত্রী মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহা, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের মতো নেতাদের মুখেও মাস্ক দেখা যায়নি তাদের নির্বাচনী জনসভা বা রোড শো গুলিতে উপস্থিতির সময়। সাধারণ রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকদের অবস্থা তো যতটা কম বলা যায় ততই ভালো। কিন্তু এতদিন এই ব্যাপারে নীরব থাকলেও এবার বিষয়টি নজরে নিল নির্বাচন কমিশন। জনপ্রিয় ইংরেজি সংবাদপত্র হিন্দুস্তান টাইমস সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে চিঠি লিখে জানানো হয়েছে এবারে রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের প্রচারণায় করোনা বিধি যথাযথভাবে মেনে না চললে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যে কোন দলের প্রার্থী, তারকা প্রচারক বা রাজনৈতিক নেতা যে কেউ তাদের নির্বাচনী প্রচারে করোনা বিধি মেনে না চললে তাকে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হতে হবে।
উল্লেখ্য বেশ কিছুদিন আগে দিল্লি হাইকোর্টে দায়ের করা এক জনস্বার্থ মামলায় এক ব্যক্তি নির্বাচন কমিশনের কাছে করোনা প্রাদুর্ভাবের মাঝে রাজনৈতিক দলগুলির নির্বাচনী প্রচারাভিযান বন্ধ রাখতে আবেদন করেছিলেন। দিল্লি হাইকোর্ট এই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কাছে জবাব তলব করে। তারপর এই নির্বাচন কমিশন করোনা বিধির ব্যাপারে এ সিদ্ধান্ত নিল। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের ৩ দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে আজ চতুর্থ দফার ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। কেরালা তামিলনাড়ু এবং আসামের ভোট গ্রহণ পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। ভোটগ্রহণের পাট চুকে গিয়েছে একমাত্র কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতেও। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাস্ক পড়ার বিষয়টি চেষ্টা করলে কার্যকরী হতে পারে কিন্তু নির্বাচনী প্রচারণার মাঝে কোন দল কোনভাবেই সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে পারবে না সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ছাড়া।