স্বাস্থ্য সাথী কার্ড হাতে থাকা সত্ত্বেও মিলল না চিকিৎসার জরুরী পরিষেবা

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

20201126226L_1606411792466_1606411822568

নিউজ ডেস্ক : চিকিৎসকেরা বলেছেন হূদযন্ত্রের অবস্থা ভালো নয়, খুব শীঘ্রই তার জরুরী চিকিৎসা করানো প্রয়োজন। তাই, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড হাতে নিয়েই কলকাতার এক নামি বেসরকারি হসপিটালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ভাঙ্গড়ের এক পরিবার। কিন্তু সেখানে গিয়ে প্রত্যাক্ষিত হতে হয়েছে সাকিলা বিবির সেই পরিবারকে। সেখান থেকে চিকিৎসা পাওয়া তো দূরের কথা উল্টে শুনতে হয়েছে যে, জরুরী পরিষেবা তে বা ডাক্তারের ফি তে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর কোনো সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে না।

কিন্তু এদিকে, রাজ্যের প্রায় ১০ কোটি মানুষকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের আওতায় আনতে চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তাহলে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর মূল পরিণতি কি এটাই! ভাঙ্গড় এর পরিবার তথা সাকিলা বিবির বড় ছেলের জবানবন্দি কিছুটা এমন -” তিনি বলেন আমরা গরিব মানুষ জরুরি পরিষেবায় চিকিৎসা করানোর জন্য লক্ষ কোটি টাকার বাজেট আমাদের নেই। তাহলে কি করে আমার মায়ের চিকিৎসা করাব! হাজার মানুষের ভিড় ঠেলে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর আওতায় আসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, এখন শুনি উল্টো কথা। কলকাতা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের কথা অনুযায়ী সেখানে ১ দিন চিকিৎসার জন্য টাকার ধাক্কা প্রায় ৫০.০০০ এর আশেপাশে”।

কিছুটা অসহায়তা এবং বাধ্যবাধকতার শিকার হয়েই রবিউল তথা সাকিলা বিবির বড় ছেলে দ্বারস্থ হয়েছিলেন নিকটবর্তী থানার, তাদের পরামর্শ অনুযায়ী বি ডি ও তে লিখিত দরখাস্ত জমা দেন রবিউল। বিডিও ভাঙ্গড় ২ কার্তিক চন্দ্র রায় বলেন অভিযোগ পেয়েছি এবং সবকিছু খতিয়েও দেখা হচ্ছে। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর কি অনুযায়ী চিকিৎসা হবে সেটা এখনো নিশ্চিত না হলেও এমনটা হওয়ার কথা ছিল না বললেন এগজীকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট চৌধুরী মিলন মহাপাত্র।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর