অর্ণবের মুখোশ উন্মোচন! চ্যাট হিস্ট্রি থেকে জানা সব চাঞ্চল্যকর তথ্য শেষ করে দিতে পারে অর্ণবের সব কিছু

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG-20210115-WA0033

নিউজ ডেস্ক : অর্ণব গোস্বামীর সঙ্গে প্রাক্তন মার্কসীয় তত্ত্বের হোয়াটসঅ্যাপ নাগাল পেয়েছে মুম্বাই পুলিশ। তদন্তের ক্ষেত্রে অতীব প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমানে এই উপাদানটি। ৫০০ পৃষ্ঠার এই ফাঁস হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে যে সমস্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে অর্ণব গোস্বামী এবং পার্থ দাশগুপ্তের কথোপকথনে তাতে শুধু সাংবাদিকতা নয় বিচারে অর্নবের শেষ হতে পারে সবকিছু।

যে সব বিষয় জানা গিয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু :

১. ২০১৯ সালের ১৪ ই ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলায় ৪৯ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হলেও তা অর্ণব গোস্বামী এর জন্য বিজয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

২. মোদি সরকারের দালাল অর্ণব গোস্বামী বালাকোট হামলার ব্যাপারে আগে থেকেই জানতেন।

৩. ইন্ডিয়া টুডের সঞ্চালক রজত শর্মাকে একটি নির্বোধ এবং তার চ্যানেল অতি সাধারন পর্যায়ের বলে মন্তব্য করেছেন রিপাবলিক টিভির এডিটর অর্ণব।

৪. একসময় টাইমস নাউ এর হয়ে কাজ করা অর্ণব গোস্বামী টাইমস নাউ এর পরিচিত সঞ্চালক বিজেপির অবস্থিত মুখপাত্র নভিকা কুমারকে কাচরা বা আবর্জনা বলে অভিহিত করেছেন।

৫. সুপ্রিমকোর্টে এমন কোন বিচারক যদি নিযুক্ত হয় যা ইন্ডিয়া টুডে ক্রয় করতে পারবে তা উদ্বেগজনক অর্ণব বন্ধু পার্থ দাস গুপ্তের কাছে।

৬. বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিরোধীরা অভিযোগ করেছিল প্রধানমন্ত্রী মোদির অফিস বিজেপির রাজনৈতিক কার্যক্রমে সরাসরি অংশগ্রহণ করে। সে অভিযোগ বিজেপির উড়িয়ে দিলেও এবার তা প্রমাণিত হলো। চ্যাটে তিনি পার্থ দাস গুপ্ত কে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে যেকোন রকম প্রয়োজনে নিশ্চিত সমর্থনের আশ্বাস দান করেন।

 

৭. কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর কে মোদি সরকারের অঘোষিত মুখপাত্র অর্ণব গোস্বামী অপদার্থ বলে মন্তব্য করেছেন। বর্তমানে প্রকাশ জাভড়েকর কেন্দ্রে ভারী শিল্প বন পরিবেশ বিষয়ক এবং তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।

৮. তবে বিজেপির নেতা প্রকাশ জাভড়েকর কে আক্রমণ করলেও বিজেপির স্বপ্নে তোমাকে যে তার সঙ্গে আছে তাও তিনি জানিয়েছেন পার্থ দাস গুপ্ত কে।

এছাড়াও আরও বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বিশাল চ্যাট হিস্ট্রি থেকে। স্বাভাবিকভাবেই ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে যে সমস্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে তার ফলে মিডিয়া জগতের উপর মোদি সরকার যে ধরনের একছত্র আধিপত্য কায়েম করে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে সম্পূর্ণভাবে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে তা প্রকাশিত হওয়ায় বিপদে পড়বে মোদি সরকার এবং তার অনুগামী সাংবাদিক কুল। কিন্তু সবথেকে বিপদে পড়বে মোদি সরকারের সব থেকে বড় দালাল অর্ণব গোস্বামী। তার সাংবাদিকতা বিশ্বাসযোগ্যতায় শুধু কমবেনা মিডিয়া জগতে তার প্রভাব গ্রহণযোগ্যতা এবং সমর্থনে বহুলাংশে হ্রাস পাবে। সরাসরি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মন্তব্য করায় বিজেপির তরফ থেকেও গোপনে প্রতিক্রিয়া জানানো হতে পারে। অন্যান্য টিভি চ্যানেলের শক্তির বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য’ করায় সে সমস্ত চ্যানেলের রচনা লেখ পড়বেন অর্ণব গোস্বামী। তবে মোদি সরকারকে টিকিয়ে রাখতে অর্ণব গোস্বামী যে বড় ভূমিকা পালন করছে এবং করেছেন তা সবাই জানে। তাই তার বিরুদ্ধে খুব বেশি পদক্ষেপ নেয়া নাও হতে পারে, এমনই বলছেন সমালোচকরা।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর