ববরি মসজিদের ইতিহাস

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG-20200806-WA0007

বাবরি মসজিদ (ইংরেজি: Babri Mosque, হিন্দি: बाबरी मस्जिद, উর্দু: بابری مسجد‎‎, অনুবাদ: বাবরের মসজিদ) ভারতের উত্তর প্রদেশের, ফৈজাবাদ জেলার অযোধ্যা শহরের রামকোট হিলের উপর অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ ছিল। বিশ্বাস করা হয়, এ বাবরি মসজিদ যে স্থানে অবস্থিত ছিল সেটাই ছিল হিন্দু ধর্মের অবতার রামের জন্মস্থান। এই বিষয়টি নিয়ে আঠারো শতক থেকেই হিন্দু এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিতর্ক চলে আসছে, যা অযোধ্যা বিবাদ নামে পরিচিত। মসজিদের অভিলিখন থেকে জানা যায়, মুঘল সম্রাট বাবরের আদেশে সেনাপতি মীর বাকী ১৫২৮–২৯ (৯৩৫ হিজরি বর্ষে) এ মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। ১৯৯২ সালে কর সেবক দ্বারা এই মসজিদ আক্রমণ করা হয় এবং গুড়িয়ে দেওয়া হয়। যা পুরো দেশজুড়ে এক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার বিষ্ফোরণ ঘটায়।
ধারনা করা হয়,এই মসজিদটি রামকোট (“রামের দুর্গ”) হিলের উপর অবস্থিত ছিল। (যদিও তার কোন প্রমাণ নেই) হিন্দুদের মতে, মীর বাকী পূর্বে অবস্থিত রামমন্দির ধ্বংস করে তারপর মসজিদ নির্মাণ করেছে। আদৌ রামমন্দির ছিল কিনা তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে ভিন্নমত আছে। ২০০৩ সালে ভারতের ভূমি জরিপ বিভাগের প্রতিবেদন অনুযায়ী তারা বাবরী মসজিদের নিচে একটি পুরাতন স্থাপনার অস্তিত্বের প্রমাণ পেয়েছেন।
১৯ শতকের শুরু থেকে এ বিতর্কের জের ধরে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে একাধিক কলহের ঘটনা ঘটে এবং পাল্টাপাল্টি আদালতে মামলা দায়ের চলতে থাকে। ১৯৪৯ সালে হিন্দু সক্রিয়তাবাদীরা হিন্দু মহাসভার সাথে জোট বেধে গোপনে রামের একটি বিগ্রহ মসজিদের অভ্যন্তরে রেখে দেয়। এরপরই সরকার দাঙ্গা ঠেকানোর অভিপ্রায়ে পুরো মসজিদকে সিলগালা করে দেয়। হিন্দু-মুসলিম উভয়ই সে স্থানে প্রবেশাধিকার পেতে আদালতে মামলা করে।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং তাদের সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা বাবরি মসজিদ গুড়িয়ে দেয়। যার ফলে পুরো ভারত জুড়েই দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। এই দাঙ্গা পুরো ভারতজুড়ে প্রায় ২০০০ মানুষ মারা যায়, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন মুসলিম।
২০১০ সালে এলাহাবাদ উচ্চ আদালত রায় দিয়েছিল, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখাড়া, রামলালার মধ্যে জমি সমান ভাগে করে দেয়া হোক। এর ফলে হিন্দুরা পায় জমির তিন ভাগের দুই ভাগ। মুসলিমরা এক ভাগ। এর বিরুদ্ধে সব পক্ষই উচ্চ আদালতে আপীল করে। ৯ নভেম্বর ২০১৯ সালে উচ্চ আদালত নিম্ন আদালতের রায়কে রদ করে ঘোষণা দেয় ২.৭৭ একরের পুরো জমিই এমন একটি ট্রাস্টকে দিতে হবে, যারা হিন্দু মন্দির নির্মাণ করবে। একই সাথে আদালত সরকারকে নির্দেশ দেয় সুন্নী ওয়াকফ বোর্ডকে বিকল্প ৫ একর জমি দিতে হবে মসজির নির্মাণের জন্য এবং সে জমি অযোধ্যায়ই হতে হবে।

*আদালতের রায় সম্পাদনা:-
২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এলাহাবাদ হাইকোর্ট বাবরী মসজিদ যে স্থানে ছিল সেই ভূমি সম্পর্কিত রায় দেয়। এলাহাবাদ হাইকোর্টের তিন জন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাদের রায়ে ২.৭৭ বা ১.১২ হেক্টর ভূমি সমান তিনভাগে ভাগকরার রায় প্রদান করেন। যার এক অংশ পাবে হিন্দু মহাসভা রাম জন্মভূমিতে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য, দ্বিতীয় অংশ পাবে ইসলামিক সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এবং বাকি তৃতীয় অংশ পাবে নির্মোহী আখরা নামে একটি হিন্দু সংগঠন। যদিও ধ্বংসপ্রাপ্ত বাবরি মসজিদ কোন মন্দির কে ধ্বংস করে তার উপরে করে উঠছে কিনা এই বিষয়ে তিনজন বিচারক একমত হতে পারেননি, তারা শুধুমাত্র একমত হতে পেরেছেন, মসজিদের নিচে মন্দির অথবা মন্দিরের মতো কোনো স্থাপনার অস্তিত্ব ছিল। ভারতের পুরাতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক করা খননকার্যের জরিপ আদালত দ্বারা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়েছিল এবং তারা মনে করেছে যে স্থাপনাটির অস্তিত্ব মসজিদ নির্মাণের পূর্বে থেকে ছিল সে স্থাপনাটি একটি বিশাল হিন্দু মন্দির ছিল।
২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত এই মামলার শুনানি করে। ৯ নভেম্বর ২০১৯ সালে ৫ জন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয় ২.৭৭ একরের সে জমিটি মন্দির নির্মাণের জন্য কোন ট্রাস্টকে হস্তান্তর করতে হবে। আদালত সরকারকে এটাও নির্দেশ দেয় যে, মসজিদ নির্মাণের জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড কে ৫ একরের একটি জায়গা দিতে হবে।

*অযোধ্যা বিবাদ:-
ভারতের রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক এবং সামাজিক-ধর্মীয় বিতর্ক, উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা শহরের একটি জমিরকে কেন্দ্র করে। বিবাদটি হিন্দু দেবতা রামের জন্মস্থান হিসাবে হিন্দুদের মধ্যে ঐতিহ্যগতভাবে বিবেচিত স্থানের নিয়ন্ত্রণ,এবং ঘটনাস্থলে অবস্থিত বাবরি মসজিদের ইতিহাস ও অবস্থান এবং পূর্ববর্তী হিন্দু মন্দিরটি ভেঙে ফেলে বা মন্দিরের ভিতের উপর মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল কিনা তা নিয়ে শুরু হয়।
বাবরি মসজিদ একটি রাজনৈতিক সমাবেশ চলাকালীন ধ্বংস হয়ে যায়, যা ১৯৯২ সালের ডিসেম্বর দাঙ্গায় রূপান্তরিত হয়। পরবর্তীতে জমি শিরোনামের মামলাটি এলাহাবাদ হাইকোর্টে দায়ের করা হয়, যার রায় ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১০ সালে দেওয়া হয়। তিন বিচারপতি নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় ছিল যে, অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭ একর (১.১২ হেক্টর) জমিটি তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হবে, যেখানে ১/৩ অংশ রাম ললায় বা হিন্দু মহাসভার প্রতিনিধিত্বকারী শিশু রামের হাতে যায়, ১/৩ অংশ যায় সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের হাতে এবং বাকি ১/৩ অংশ যায় নির্মোহী আখড়ার হাতে। রায়টি নিশ্চিত করে যে এই বিতর্কিত স্থানটি হিন্দুদের বিশ্বাস অনুসারে রামের জন্মস্থান ছিল এবং বাবরি মসজিদ একটি হিন্দু মন্দির ভেঙে দেওয়ার পরে নির্মিত হয়। এছাড়া রায়ে উল্লেখ করা হয় যে মসজিদটি ইসলামের তত্ত্ব অনুসারে নির্মিত হয়নি।
পাঁচ বিচারপতি নিয়ে গঠিত ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ের (সুপ্রিম কোর্ট) বেঞ্চে ২০১৯ সালে আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত অযোধ্যা বিবাদের মামলা শুনেছে। ৯ নভেম্বর ২০১৯ সালে, সুপ্রিম কোর্ট জমিটিকে হিন্দু মন্দির তৈরির জন্য একটি ট্রাস্টের হাতে হস্তান্তর করার আদেশ দেয়। রায়ে মসজিদটি নির্মাণের জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে বিকল্প পাঁচ একর জমি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।

*কালপঞ্জি সম্পাদনা বছর তারিখ ঘটনা:-
১৫২৮ এর দেয়ালগুলির শিলালিপি অনুসারে, বাবরি মসজিদ সম্রাটের বাবর-এর আদেশে নির্মিত হয়। স্থানীয় ঐতিহ্য বলে এটি রামের জন্মস্থানে একটি মন্দির (ধ্বংসাবশেষ) ভেঙে দেওয়ার পরে তৈরি করা হয়৷
২০১১ ৯ই মেভারতের সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের এই বিতর্কিত স্থানটিকে তিন ভাগে বিভক্ত করার আদেশ স্থগিত করে এবং বলেছে যে সেখানে স্থিতাবস্থা থাকবে।
২০১৯ ৬ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গোগোই এর নেতৃত্বে ৫ জন বিচারকের সংবিধান বেঞ্চ এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি শুরু করেছে।২০১৯ ১৬ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টে চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়। বেঞ্চ চূড়ান্ত রায় সংরক্ষণ করে। বেঞ্চ প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলিকে লিখিত নোট দাখিল করার জন্য এবং যে বিষয়গুলিতে আদালত রায় দিতে হবে সেগুলি সঙ্কুচিত করতে তিন দিনের সময় মঞ্জুর করে।
২০১৯ ৯ই নভেম্বর চূড়ান্ত রায় প্রদান।সুপ্রিম কোর্ট জমিটিকে হিন্দু মন্দির তৈরির জন্য একটি ট্রাস্টের হাতে হস্তান্তর করার আদেশ দিয়েছে। এই রায়ে মসজিদ নির্মাণের উদ্দেশ্যে সুন্নী ওয়াকফ বোর্ডকে বিকল্প পাঁচ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় সরকারকে।
আজ 5ই আগষ্ট ভারতের ইতিহাসে কালো দিন৷ পাঁচশত বছরের ঐতিহ্য বাবরি মসজিদের জায়গায় কল্পিত রামমন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন দিবস৷ গনতান্ত্রিক ভারতবর্ষের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী যার প্রধান অতিথি৷ এ যেন ধর্মনিরপেক্ষ স্বাধীন গনতান্ত্রিক ভারতবর্ষের গন্ডি পেরিয়ে হিন্দুরাষ্ট্র তৈরীর পটভূমি৷ ভারতীয় মুসলিমদের সুস্থভাবে বাঁচবার আর কোন রাস্তা আছে কিনা ভবিষ্যত বলবে৷ তবে ব্রাক্ষ্মন্যবাদী শাসকের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে কেবল মুসলিমরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে না, সেইসাথে দলিত, আদিবাসী, নীচুজাতের হিন্দুদেরকেও প্রস্তুত হতে হবে, আগামীতে বর্ণবৈষম্যের কষাঘাতে বিদ্ধ হওয়ার জন্য৷

*নীচে গৌরী দেববর্মার লেখাটাও সংযোজন করা হলো৷
কল্পিত রামচন্দ্র৷

মুঘল সম্রাট বাবরের আদেশে
“”সেনাপতি মীর বাকী” ১৫২৮–২৯ সালে
বাবরি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন।।

তারপর ১৫৩২ সালে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন
“” ধর্মসংস্কারক ও দার্শনিক
“গোস্বামী তুলসীদাস,,,

তিনি গুরুপরম্পরায় রামআনন্দী সম্প্রদায় ভুক্ত ছিলেন, তুলসীদাস তার রাম ভক্তির জন্য প্রসিদ্ধ।

তিনি একাধিক জনপ্রিয় গ্রন্থ রচনা করেছিলেন,
তবে তিনি “রামচরিতমানস মহাকাব্যের জন্য
সর্বাধিক পরিচিত।

এই গ্রন্থটি হল সাংস্কৃত “রামায়ণ,মহাকাব্য।
তুলসীদাস উনার জীবদ্দশায় শুধু
রামচরিতমানস গ্রন্থটিই নয় আরও অনেক গুলো
ধর্ম গ্রন্হের রচনা করেছেন,,

যেমম গীতাবলি,, দোহাবলি,, বিনয়পত্রিকা,,
সাহিত্যরত্ন,, বৈরাগ্য সন্দীপনী,, জানকী মঙ্গল,
পার্বতী মঙ্গল,, হনুমান চালিশা,,ও আরও
অন্যান্য গ্রন্থ রচনা করেছিলেন।।

তারপর ১৬২৩ সালে উনি স্বর্গের
উদ্দেশ্যে পরলোক গমন করেন।।

কিন্তু উনার লেখা কোনোও গ্রন্থে
এ কথা উল্লেখ নেই বা করেননি যে –
রাম মন্দির ধ্বংস করে তাঁর উপরে
বাবরি মসজিদ নির্মাণ করা হয়।।

সত্যিই যদি রাম মন্দির ধ্বংস করে
তাঁর উপরে বাবরি মসজিদ নির্মাণ করা হতো,,
নিস্চয় তুলসীদাস এর লেখা গ্রন্থে এর প্রমাণ
পাওয়া যেতো।।

*৫ ই আগস্ট কালা দিবস:-
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মূলে যুক্ত রয়েছে যারা!
১৯৯২ সালে ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়। তখন কংগ্রেস শাসনে ছিল, এবং নারসীমা রাও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এই নিকৃষ্ট নরপশুর পূর্ণ সহযোগিতায় বিজেপি আরএসএস বাহিনী ও বজরঙ্গ দল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ যৌথ হয়ে মিলে এই বাবরি মসজিদ কে ধ্বংস করে।

*ষড়যন্ত্র:-
রাতারাতি বাবরি মসজিদের ভিতরে ঠাকুরের মূর্তি রেখে দিয়ে দাবী করে বসল যে এটা রামের জন্মভূমি।
প্রথমত:-রাম বলে কেউ যে ছিল এমন কোন ইতিহাসে পাওয়া যায়নি।
দ্বিতীয়ত:- আর থাকলেও অনেক হিন্দু ব্রাহ্মণ পণ্ডিত বলেছেন যে রামের জন্মভূমি সুইজারল্যান্ডে।
সুতারাং অত্যান্ত পরিকল্পনামাফিক বাবরি মসজিদ কে শহীদ করা হয়েছিল, মসজিদের জায়গাগুলি নিজেদের হস্তান্তরে করার জন্য।

*সুপ্রিমকোর্টের কালা আইন:-
অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় যে, যারা এই বাবরি মসজিদ কে শহীদ করলো তাদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিল। সুতরাং মুসলমানরা ইনসাফ পেলোনা সুপ্রিমকোর্টের কাছে।মুসলমানরা সুপ্রিমকোর্টকে আগেও শ্রদ্ধা করেছে, এখনও করছে, আগামীতেও করবে। কিন্তু এই দুঃখ ক্ষোভ টা থেকেই যাবে চিরকাল যে সুপ্রিমকোর্ট আমাদের ন্যায় বিচার করেনি এবং আমাদের আগামী প্রজন্ম ও জানবে যে এই মিথ্যা বিচারের ইতিহাস।

*সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের ধমকি- বিজেপির।
বিজেপি আরএসএস এবং বজরঙ্গ বাহিনী সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের ধমকি দিয়েছিল, বিচারপতিরা নিজেই মিডিয়ায় এসে প্রকাশ করেন অথবা অর্থের লোভে বিজেপি আরএসএস এর পৃষ্ঠপোষকতা করতেও পারে।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল যে ইতিহাস, প্রুফ, এভিডেন্স, এবং সঠিক দলিল, ভিত্তিক রায় হবে বাবরি মসজিদের, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাল্পনিক চিন্তা, ভাবনাকে কেন্দ্র করে রায় হলো।
তো আমি বলব মুসলমানরা আগেও সুপ্রিমকোর্টকে মান্যতা দিয়েছে এবং পরেও দেবে, কিন্তু একটা কথা বলার সেটা হল মুসলমানরা ন্যায়বিচার পেল না সুপ্রিমকোর্টের কাছে, অর্থাৎ মুসলমানদের ভরসা ভেঙ্গে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের কাছে।

*৫ ই আগস্ট রাম মন্দিরের ভূমি পূজা:-
৫ ই আগস্ট রাম মন্দিরের ভূমি পুজোর বিরোধিতা আমরা করি নাই, কারণ যেখানে সুপ্রিম কোর্টের রায় হয়ে গিয়েছে। বরং আমরা রাম মন্দিরের ভিত্তিস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকায় সেখানে বিপুল জমায়েত হয়েছিল, সেই জামায়াতকেই আমরা বিরোধিতা করছিলাম, যেহেতু করোনা লকডাউন চলছে বিগত চার মাস ধরে, এবং করোনা সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলেছে, প্রধানমন্ত্রী সেই অনুষ্ঠানে আসবেন আর জামায়াত হবে না এমনটি নয়। সুতরাং প্রধানমন্ত্রীর হুশ থাকা দরকার ছিল কারণ তিনি শুধু বিজেপি আরএসএস দের প্রধানমন্ত্রী নয় ১৩৭ কোটি জনতার প্রধানমন্ত্রী।

নাম- আসমত আলি।
গ্রাম- বল্লভ পুর
পোস্ট- চাকলা
থানা – দেগঙ্গা
জেলা- উঃ ২৪ পরগণা।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর