আমি বিফ খাই, দলের সহকর্মীদের সাহস নেই বিফ বিরোধী বিলের বিরুদ্ধে কথা বলার : কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

The President, Shri Pranab Mukherjee gracing the function to commemorate the serving of 2 billion meals of the Akshaya Patra Foundation, at Bangalore, in Karnataka on August 27, 2016...The Governor of Karnataka, Shri Vajubhai Rudabhai Vala, the Chief Minister of Karnataka, Shri Siddaramaiah and the Union Minister for Human Resource Development, Shri Prakash Javadekar are also seen..
The President, Shri Pranab Mukherjee gracing the function to commemorate the serving of 2 billion meals of the Akshaya Patra Foundation, at Bangalore, in Karnataka on August 27, 2016...The Governor of Karnataka, Shri Vajubhai Rudabhai Vala, the Chief Minister of Karnataka, Shri Siddaramaiah and the Union Minister for Human Resource Development, Shri Prakash Javadekar are also seen..

নিউজ ডেস্ক : কর্নাটকে কংগ্রেসের নেতাদের বিজেপি সরকারের আনা গোমাংস ভক্ষণ বিরোধী বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস নেই বলে মন্তব্য করে কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া বলেন, “আমি গোমাংস খাই এতে কার কী বলার আছে?” তিনি আরো বলেন, “রাজ্যের বহু মানুষের এই বিলের প্রতি সমর্থন আছে সে জন্য কংগ্রেস নেতৃত্ব এই বিলের বিরুদ্ধাচরণ করা থেকে বিরত থাকছে। এই বিল কৃষকদের বোঝার পরিমাণ বাড়াবে। প্রতিটি কৃষকের প্রতিদিন একটি বৃদ্ধ গরুকে পালনের জন্য ১০০ টাকা খরচ করতে হবে।”

উল্লেখ্য কর্ণাটকের বিজেপির ইয়েদুরাপ্পা সরকার রাজ্য গোহত্যা নিষিদ্ধ করা, গোমাংস ভক্ষণ করা এবং গোমাংস উৎপাদনের উদ্দেশ্যে গবাদি পশু ক্রয় বিক্রয় করার বিরুদ্ধে একটি বিল প্রণয়ন করেছে। কিন্তু রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্ব এই ব্যাপারে নিরব রয়েছে। এই নীতিতে যে প্রাক্তন এই মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বাসী নয় তা তিনি সুস্পষ্ট করে দিলেন ফলে প্রশ্নের মুখে পড়ল কংগ্রেসের নীতির ব্যাপারে। কংগ্রেসের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার বলেছেন দল এই বিলের সমর্থন করবে কারণ এই রকম বিল কংগ্রেস সরকার প্রথম আনে ১৯৬৪ সালে। এমন পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কে মুনিয়াপ্পা সবাইকে একতাবদ্ধ হয়ে দলের বৃহত্তর স্বার্থকে সামনে রেখে কাজ করার আহ্বান করেছেন। তবুও এই বিষয়ে কংগ্রেসের মধ্যে যে একটা বিভাজন সৃষ্টি হচ্ছে তা সুস্পষ্ট প্রতিয়মান।

রাজনৈতিক মহলের ধারণা কংগ্রেসের যে দুর্বলতার সব থেকে বেশি ফায়দা কট্টর হিন্দুত্ববাদী মোদি এবং তার দল বিজেপি তুলেছে সেটা হলো কট্টর হিন্দুত্ববাদের ব্যাপারে তাদের অস্পষ্ট নীতি। কখনো তারা সুস্পষ্ট ভাবে এই ধর্মীও উগ্রবাদের সমর্থন ও করেনি আবার কখনো সেই তীব্রতার সঙ্গে বিরোধিতাও করেনি। কংগ্রেস বাবরি মসজিদের ধ্বংসের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি আবার পরবর্তীতে বাবরির জন্য কুমিরের অশ্রু ঝরিয়েছে। কখনো হিন্দুত্ব সন্ত্রাসকে ঘৃণা করেছে আবার কখনো এটার অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তাদের এই মধ্যপন্থা সঠিক সামঞ্জস্য রক্ষায় ব্যর্থ। তাই কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা কংগ্রেসকে সমর্থন করে না আবার ধর্মনিরপেক্ষ মানসিকতার লোকেরাও কংগ্রেসকে সঠিক উগ্রবাদ বিরোধী শক্তি বলে মনে করে না।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর