‘এটা পাকিস্তান, ভারত নয়;’ বাক-স্বাধীনতার অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়ে বলল ইসলামাবাদ হাই কোর্ট

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

1955718-TheIslamabadHighCourtphotofile-1555828657

নিউজ ডেস্ক : এমন দিনও যে দেখতে হবে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে তা ভারতের স্বাধীনতার রূপকার শক্তি কোন দিনই হয়তো কল্পনা করেননি। পাকিস্তান তথাকথিত ভাবে ধর্মের উপর প্রতিষ্ঠিত একটি রাষ্ট্র, যেখানে ভারত বর্ষ সর্বধর্ম সমন্বয় গঠিত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতবর্ষের তরফ থেকে বলা হয় ভারতের সব ধরনের মানুষের মৌলিক অধিকার স্বীকৃত কিন্তু পাকিস্তানের এই সব মৌলিক অধিকার গুলি সব মানুষ উপভোগ করতে পারেন না এ ব্যাপারে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে ভারতের। কিন্তু মোদি সরকার আসার পর থেকেই দুটি দেশ ঠিক যেন উল্টো পথে হাঁটা শুরু করেছে বলে মত সমালোচকদের। যেখানে ভারতবর্ষ ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের তথা ধর্মীয় গোঁড়ামির পথে অগ্রসর হয়েছে সেখানে ভারতের প্রতিবেশী পাকিস্তান সাম্প্রদায়িকতা থেকে দূরে সরে ধীরে ধীরে ধর্মনিরপেক্ষতার পথে অগ্রসর হয়েছে। সেজন্যই তো গতকাল ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সে দেশের সরকারকে বাক স্বাধীনতার অধিকার স্মরণ করিয়ে দিয়ে “এটা পাকিস্তান, ভারত নয়” বলে মন্তব্য করতে পারলেন।

পাকিস্তানের সরকার ব্যবস্থা এবং সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি চালানোর জন্য পাকিস্তান সরকার সেদেশের আওয়ামী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং পিটিএম এর ২৩ জন কর্মীকে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের করে। সেই মামলার শুনানি কালের পাকিস্তানের ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আথহার মিনাল্লা মন্তব্য করেন, “সরকার বিরোধী সমালোচনাকে সব সময় খোলা মনে গ্রহণ করা উচিত। এখানে বাক স্বাধীনতার অধিকার এখানে স্বীকৃত। সরকারকে প্রশ্ন করা মানেই দেশদ্রোহিতা নয় এটা পাকিস্তান ভারত নয়।” তিনি আরো বলেন, কোন গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার বাক স্বাধীনতার অধিকার খর্ব করার অপচেষ্টা করতে পারে না। যদিও সরকারের তরফ থেকে হাইকোর্টকে জানানো হয় যে সমস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়েছে তাদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার পূর্বে।

উল্লেখ্য মোদি সরকার এর আগমনের পর থেকেই ভারতের সিবিআই, ইডি, এনআইএ এর মতো গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো সহ বিচার ব্যবস্থা এবং গণমাধ্যম গুলো সরকারের একান্ত অনুগত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ করছেন বহুদিন থেকে। যারাই সরকারের সমালোচনা করার রাস্তা অবলম্বন করেছে তাদেরকে মুখোমুখি হয়েছে সরকারের অনুগত এই প্রতিষ্ঠানগুলির। বাকস্বাধীনতা একপ্রকার শেষ করে দেয়া হয়েছে ভারতে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী মোদী অমিত শাহ বা অন্য কোন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে সামান্যতম এক সমালোচনা মূলক ফেইসবুক পোস্ট যে কারো জন্য জেলে যাওয়ার কারণ হতে পারে। খুব সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সমাজকর্মী সাহিত্যিক লেখক সাংবাদিকদেরকে শুধুমাত্র মোদী এবং তার সরকারের সমালোচনা করার কারণে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট মামলা দায়ের করে গুরুতর অভিযোগ আরোপ করেছে বিজেপি সরকার। এজন্যই আজ পাকিস্তানের তরফ থেকে শুনতে হলো এমন মন্তব্য।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর