নিউজ ডেস্ক : ভারতের অন্যান্য প্রায় সব অ-বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলির মতো মহারাষ্ট্রেও দীর্ঘদিন এমভিএ জোট সরকার এবং রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির মধ্যে সম্পর্ক তীব্র বাদানুবাদপূর্ণ রয়েছে। কিন্তু এবার সেই বাদানুবাদ কাল হলো মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালের। এবার সরকারি বিমান থেকে নামিয়ে দেয়া হলো মহারাষ্ট্রের। ঘটনাটিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে মহারাষ্ট্র বিজেপি। তারা ইতিমধ্যেই ঘটনাটিতে রাজ্য সরকারের ক্ষমা প্রার্থনার দাবি করেছে।
গত বৃহস্পতিবার বেলা ঠিক দশটায় সরকারি বিমানে চেপে দেরাদুন যাওয়ার কথা ছিল মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল বি এস কোশিয়ারির। যথা সময়ে নিজের প্রতিনিধি দল এবং নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বিমানে গিয়ে সাওয়ার হন তিনি। কিন্তু তাকে আধিকারিকদের তরফ থেকে জানানো হয় রাজ্য সরকারের কোনো অনুমতি বা সম্মতি এই বিমান ব্যবহারের জন্য এখনো পাওয়া যায়নি তাই এই বিমান তিনি আপাতত ব্যবহার করতে পারবেন না। বাধ্য হয়েই তিনি নেমে যান বিমান থেকে। পরবর্তীতে দেরাদুন যাবার জন্য তিনি দুই ঘন্টা পর এক বাণিজ্যিক ফ্লাইট বুক করেন। ঘটনাটি বিদ্বেষপূর্ণ এবং শিশুসুলভ বলে মন্তব্য করেছে মহারাষ্ট্র বিজেপি।
বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে রাজ্য সরকার এই বিষয়টিতে জড়িত। বিষয়টি রাজ্যের সম্মান এর উপর এক কলঙ্ক। তাই রাজ্য সরকারের এর জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত। যদি রাজ্য সরকার এ বিষয়টি ইচ্ছাকৃত না করে থাকে তাহলে দোষী আধিকারিকদের সাসপেন্ড করা উচিত। এদিকে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী আজিত পাওয়ার জানিয়েছেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। ব্যাপারটি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে তিনি মন্তব্য করবেন বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য গত বছর অক্টোবরে লকডাউন এর সময় মহারাষ্ট্রে মন্দির গুলো না খোলার জন্য রাজ্যপাল তীব্র সমালোচনা করেছিলেন উদ্ভব ঠাকরে সরকারের। তিনি এক চিঠি লিখে বেনোজির ভাবে ধর্মনিরপেক্ষ দেশের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরেকে “ধর্মনিরপেক্ষ” বলে আক্রমণ করেছিলেন। যার যথাযোগ্য জবাব অবশ্য দিতে ভোলেননি মহারাষ্ট্রের শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ভব ঠাকরে। তিনি সরাসরি জানিয়েছিলেন “হিন্দুত্বের সার্টিফিকেট” আমার অন্য কারো থেকে নেওয়ার প্রয়োজন নেই।