এনবিটিভি, সফিকুল আলম, হরিশচন্দ্রপুর: আবাস যোজনায় কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। কিন্তু খবর করতে এলাকায় যাওয়ার পর ঘরে ঢুকিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ওই সাংবাদিককে দলবল নিয়ে বেধড়ক মারধর করে প্রাণনাশের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের ওই নেতার বিরুদ্ধে। মারধরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই সাংবাদিক। পরে বাসিন্দারা আহত সাংবাদিককে উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে ভর্তি করান। তাকে অক্সিজেন দিতে হয়। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের হোসেনপুর এলাকায়। রবিবার সকালে শাসকদলের ওই নেতা অলোক পোদ্দার সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানান ওই সাংবাদিক।
খবর করতে গিয়ে সাংবাদিকের উপরে হামলার তীব্র নিন্দা করেছে জেলার সাংবাদিক মহল। নিন্দায় সরব হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলিও।
ঘটনার জেরে ক্ষুব্ধ শাসকদলের নেতাদের একাংশও। দ্রুত অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হলে আন্দোলনে নামারও হুমকি দিয়েছেন সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন।
সম্প্রতি সাহস করে আবাস যোজনায় কাটমানি নিয়েছেন বলে বিডিওর কাছে অভিযোগ করেছিলেন এক দুঃস্থ বাসিন্দা। সেই খবর করতে গিয়েছিলেন সাংবাদিক তনুজ জৈন। উল্লেখ্য খবর করতে গিয়েই সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তনুজ। দীর্ঘদিন কোভিড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। একটু সুস্থ হতেই পেশার টানে অভিযোগ পেয়ে ছুটে গিয়েছিলেন দুঃস্থের পাশে দাঁড়িয়ে খবর করতে।
সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য জামিল ফিরদৌস বলেন, ওই সদস্য সিপিএমে জয়ী হয়ে লোভে শাসকদলে যোগ দেন। কাটমানি নেওয়াটা তো ওদের অধিকার হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবাদ করলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিকরাও পার পাচ্ছেন না। সাংবাদিকের উপরে উপরে হামলার তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি।
হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক মোস্তাক আলমও ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, শাসকদলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হলে ওরা কাউকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসাচ্ছে, নয়তো হামলা করছে। এর থেকে ওদের কাছে আর কি আশায় করা যায়।
জেলা পরিষদের শিশু, নারী, ত্রান কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেত্রী মার্জিনা খাতুন বলেন, আমাদের দলের কোনও নেতা বা অন্য কেউ, সাংবাদিকদের উপরে হামলা করবে এটা কোনওভাবেই মানা যায় না। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।