আসামে জয়ী মোট ৩১ জন মুসলিম প্রার্থী, ২০ আসনে লড়াই করে আজমলের দল পেল ১৫ টি আসন

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG_20210505_134722

নিউজ ডেস্ক : এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে নবগঠিত ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিয়ে সমালোচনা চলছে নানা মহলে। বেশিরভাগ সমালোচনা চলছে মুসলিমদের মধ্যেই। উল্লেখ্য আইএসএফ এবার বাম দল গুলোর সঙ্গে জোট করে ২৬ টি আসনে লড়াই করে একটি মাত্র আসনে জয়লাভ করে। যেখানে বাম এবং কংগ্রেস এত দিনের রাজনৈতিক ইতিহাস সত্বেও একটি আসন ও পায়নি। সেদিক থেকে আব্বাস সিদ্দিকীর দলের ব্যর্থতা তুলনামূলক কম।

আসামে ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আজমলের নেতৃত্বাধীন অল ইন্ডিয়া ইউনিটের ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট। সেই থেকে অনেক পথ পার করে বর্তমান অবস্থায় এসে পৌঁছেছে দলটি। দলটি প্রকৃতিগতভাবে ধর্মনিরপেক্ষ হলেও বিজেপির মতো বিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলো তাদেরকে মুসলিমদের সংগঠন বলে প্রচার করে থাকে। কিন্তু সেই পরিচিতির বাধা পার করে এখন তারা আসামের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে একটা উল্লেখযোগ্য শক্তি।

 

এআইইউডিএফ এই নির্বাচনে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ১০ দলীয় মহাজোটের অংশীদার ছিল। নির্বাচনে এই জোট ৫০টি আসন পায়। আর বিজেপি জোট ৯৫টি আসনে জিতে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে।

আসামে সরকার দলে কোনো মুসলিম এমএলএ বা বিধায়ক না থাকলেও বিরোধীদের আছে ৩১ জন। ১৯৮৩ সালের পর (ওইবার মুসলিম ছিল ৩৩ জন) এবারই রাজ্য বিধানসভায় সর্বাধিক সংখ্যক মুসলিম প্রবেশ করছেন।

মহাজোট থেকে নির্বাচিত ৩১ জন মুসলিমের মধ্যে ১৬ জন হলেন কংগ্রেসের, ১৫ জন আজমলের এআইইউডিএফের। এআইইউডিএফ মাত্র ২০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এই সাফল্য পেয়েছে। তাদের সফলতার হার ৮০ ভাগ। আর কংগ্রেসের হয়ে ৯৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সাফল্যের হার ৩০.৫২ ভাগ।

ফলে বদরুদ্দিন আজমলের ভিত আরো মজবুত হলো এই নির্বাচনের মাধ্যমে। উল্লেখ্য, তিনি একইসাথে ব্যবসায়ী, রাজনীতিবি, লোকহিতৈষী ও আলেম। আতরের ব্যবসায় তার বেশ সুনাম রয়েছে।

উল্লেখ্য, বদরুদ্দিন আজমল একইসাথে জমিয়তে ওলামায়ে হিন্দের আসাম রাজ্যের সভাপতি এবং দারুল উলুম দেওবন্দের শুরা সদস্য। আজমল ভারতের লোকসভারও সদস্য। ১৯৫০ সালে জন্মগ্রহণ করা আজমল তার দলটি প্রতিষ্ঠা করেন ২০০৫ সালে। তিনি ধুবরি আসন থেকে তিনবারের এমপি। তিনি নিয়মিতভাবে বিশ্বের ৫০০ সবচেয়ে প্রভাবশালী মুসলিম ব্যক্তিত্বের তালিকায় স্থান পেয়ে থাকেন।

আসামে আজমলের উত্থান আজ থেকে ৩০ বছর আগে । সেখানে জাতি ধর্ম বর্ণ বৈষম্য না করে অসহায় গরিব ছিন্নমূল মানুষের জন্য তিনি গড়ে তোলেন একের এক দাতব্য প্রতিষ্ঠান। গড়েন হাসপাতাল, মসজিদসহ অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্য আজমলের কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অসমে যেমন শিক্ষার হার বাড়ছে একইভাবে কর্মসংস্থান হয়েছে অনেক।

একজন রাজনীতিবিদ আজমলের থেকেও তিনি বেশি পরিচিত দাতা ও শিক্ষানুরাগী হিসেবে।
তার এসব কর্মকাণ্ডই তাকে আসামসহ গোটা ভারতের উদাহরণ দেয়ার মতো আইডলে পরিণত করেছে।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর