রাফালের থেকে বেশি ভয়ঙ্কর শক্তিশালী যুদ্ধবিমান দেশেই বানাচ্ছে পাকিস্তান

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

JF-17-Block-III-vs-F-16-C-A-Race-JF-17-Thunder-won-by-a-Mile

সাইফুল্লা লস্কর : মোদি সরকার পাকিস্তান এবং চীনের বিমান বাহিনীকে জব্দ করার জন্য ফ্রান্সের কাছ থেকে ৩৬ টি রাফাল বিমান কেনার চুক্তি করে। ডাসল্ট এভিয়েশন নামক ফরাসি কোম্পানিটি ইতিমধ্যেই ৯ টি রাফালে জঙ্গিবিমান ভারতকে ডেলিভারি দিয়েছে। তবে প্রতিটি রাফালে জঙ্গী বিমানের মূল্য বর্তমানে রাফালের থেকে বহুগুণ ক্ষমতাশালী আমেরিকার F-35 বা চীনের j-20 জঙ্গীবিমান এর অনেক বেশি। বিরোধী দলসহ বুদ্ধিজীবীরা বারবার প্রশ্ন তুলেছে রাফালের এত বিপুল মূল্যের কারণে। অভিযোগ উঠেছে এই চুক্তিতে ব্যাপক দুর্নীতির। অনেকে আবার প্রশ্ন তুলেছে একটা উন্নয়নশীল দেশে এত বিপুল অর্থ ব্যয় করে বিদেশি যুদ্ধবিমান কেনা কি অতি জরুরী? প্রয়োজনে ভারত কি পাকিস্তানের মতো নিজের দেশেই তৈরি করতে পারত না কোন জঙ্গি বিমান? সেই সব প্রশ্নের মাঝেই ভারত এখন চীন এবং পাকিস্তানের মোকাবেলায় রাফালে জঙ্গিবিমান নিয়ে নিজেদের কৌশল সাজাতে শুরু করেছে। অনেক সামরিক বিশেষজ্ঞের মতে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী এবারে আর ভারতের সীমানার আশপাশে আসার সাহস পাবে না। তবে তারই মাঝে পাকিস্তান নিজের দেশেই তৈরি করা শুরু করলো রাফাল এর থেকে বেশি শক্তিশালী এবং ভয়ঙ্কর যুদ্ধবিমান জেএফ 17 ব্লক 3।

পাকিস্তান এই জঙ্গী বিমানটি তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু চীনের সাহায্যে তৈরি করছে। এটি ইতিমধ্যেই তারা বিভিন্ন দেশের কাছে রপ্তানিও করেছে। পাকিস্তানের অ্যারোনটিক্যাল কমপ্লেক্স কামরাতে গত ৩০ ডিসেম্বর থেকে এই জঙ্গী বিমানের উৎপাদন শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই এটি পাকিস্তান বিমান বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হবে বলেও জানানো হয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনীর তরফ।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে পাকিস্তানের এই জঙ্গী বিমান তৈরি করতে খরচ হয় মাত্র ৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অন্যদিকে রাফালের একটি ইউনিট এর দাম থান্ডার এর তুলনায় প্রায় তিনগুণ অর্থাৎ ১২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিন্তু বিশেষত্ব এবং শক্তির হিসাব করলে অনেক ক্ষেত্রেই এই অতি মূল্যবান রাফাল এর তুলনায় এগিয়ে রয়েছে থান্ডার।

থান্ডারের সর্বোচ্চ গতি যেখানে ঘণ্টায় ২৪০০ কিলোমিটারেরও বেশি সেখানে রাফালে যুদ্ধ করতে পারে প্রায় ২০০০ কিলোমিটার প্রত ঘণ্টা গতিতে। আবার রাফালের তুলনায় থান্ডার অনেক বেশি উচ্চতায় যুদ্ধ করতে পারে। রাফালে যেখানে যুদ্ধের জন্য সর্বোচ্চ প্রায় ৫০০০০ ফুট উপরে উড়তে পারে সেখানে থান্ডার উড়তে পারে ৫৫০০০ ফুটেরও বেশি উচ্চতায়। রাফালেতে যুদ্ধ করার জন্য মাত্র একটি গান রয়েছে যেখানে থান্ডারে রয়েছে দুটি। রাফালেতে শুধুমাত্র পশ্চিমা মিসাইল এবং অস্ত্র যুক্ত করা যাবে সেখানে থান্ডারে পশ্চিমা এবং চিনা উভয় ধরণেরই অস্ত্র যুক্ত করা যাবে। পারমাণবিক অস্ত্র হামলা করার জন্য রাফলে মাত্র একটি পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম মিসাইল নিয়ে হামলা করতে পারবে কিন্তু থান্ডার সে ক্ষেত্রে দুটি পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম মিসাইল নিয়ে হামলা করতে পারবে। রাফাল এর তুলনায় ঠান্ডারের বিয়ন্ড ভিজুয়াল রেঞ্জ মিসাইলের পাল্লা প্রায় ২৫০ কিমি বেশি।

তবে কোনো কোনো দিকে অবশ্য রাফালে একটু এগিয়ে আছে কিন্তু তা সত্ত্বেও এক তৃতীয়াংশ দামের থান্ডার যে অতি সমৃদ্ধ একটি শক্তিশালী যুদ্ধ বিমান তা স্বীকার করছেন ভারতের সব সামরিক বিশ্লেষক। তাই থান্ডার হাতে পেলে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান আবার যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বীকে মাঠে নামাতে পারবে বলে মনে করছে পাকিস্তানের সামরিক কর্মকর্তারা।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর