নিউজ ডেস্ক : অন্ধ্রপ্রদেশের এক পরিবারের দুই কন্যা সন্তানের নিজের পিতামাতার হাতে ত্রিশূল আক্রান্ত হয়ে হত্যার ঘটনা হতভম্ব করে দিয়েছে গোটা দেশকে। খবরে প্রকাশ, মৃত দুই কন্যার পূর্ণ সম্মতিও ছিল তাদের পিতামাতার এই চরম কুসংস্কারপূর্ণ কর্মকাণ্ডে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিবারের ৪ জন সদস্যই মানসিক বিকারগ্রস্ত। তারা একটি ধর্মীয় বিশ্বাসের চরমপন্থায় বিশ্বাসী। মৃত কন্যা দ্বয় আদতে সাইবাবা, মেহের বাবা এবং রজনীশের মতো স্বঘোষিত ভগবানের বিশ্বাসী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। মৃতদেশের পাশে থেকে মেহের বাবার একটা ছবিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তারা নিজেদের অনেক সময় শিব এবং ভগবান বলেও মনে করত বলে জানা গিয়েছে। মৃত্যুর আগে আলেখ্য (২৭) মৃতদের মধ্যে একজন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, “ইসলাম শেষ”, “কাজ হয়ে গেছে”, “শিব আসছে,” “মুসলিমস চলে গেছে” ইত্যাদি। আলেখ্য একজন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারী এবং বন বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা করেছেন। আলেখ্য এর ছোট বোন সাই দিব্য এর বয়স ২২ বছর। তাদের মৃত্যুর খবর প্রতিবেশীদের কাছে থেকে পাওয়ার পর পুলিশ ওই পরিবারের বাড়িতে হানা দিয়ে দই বোনের লাশ উদ্ধার করে। একজনের মৃতদেহ পূজার ঘরে লাল শাড়ি পরিহিত অবস্থায় এবং অন্যজন পাশের ঘরে ত্রিশূল আক্রান্ত হয়ে মৃত অবস্থায় ছিল। তারা বিবস্ত্র ছিল বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। পুলিশের আগমনও বিব্রত করেনি তাদের পিতামাতাদের। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে রবিবার। তবে থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে পেশায় এক স্কুলের প্রিন্সিপাল এবং মৃতদের মা পদ্মজা চিৎকার করতে থাকেন, “আমি শিব, আমার শরীর থেকেই এসেছে করোনা, চিন থেকে নয়।” তার মানসিক বিকারগ্রস্ত অবস্থায় উদ্ধার করা স্বামী পুরুষোত্তম নাইডু রসায়নে পিএইচডি ডিগ্রিধারী এবং এক সরকারি কলেজের লেকচারার।