সুনামগঞ্জ আউটসোর্সিংয়ের দূর্নীতির কারনে সেবা থেকে বঞ্চিত রোগীরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রয়েছে হাসপাতাল

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

received_969499670205218

 

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ জেলা ২৫০শয্যা সদর হাসপাতালসহ জেলার ১১টি উপজেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল বৃদ্ধি এবং মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রানালয়ের নির্দেশক্রমে ২০১৯-২০২০অর্থবছরে সুনামগঞ্জ জেলার সকল উপজেলা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে আউট সোসিং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২৩৪জন বিভিন্ন পদে ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে অস্থায়ী ভাবে যোগদান করেন। যোগদানের পর হতে জেলা ১১টি উপজেলাসহ সদর হাসপাতালে আয়া, ওয়ার্ডবয়, পরিচ্ছন্ন কর্মী, ডোম , অফিস সহায়ক পদে কর্মীরা করোনা কালীন সময়ে ঐ সমস্ত কমর্রিা ঠিক মত বেতন না পেয়েও সদর হাসপাতালসহ ১১টি উপজেলায় মানুষের সেবা প্রদানকরেন।এবং পরিস্কার পরিছন্নতার মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্যসেবাগুলি চলছিল। বর্তমানে আউটসোসিং ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের কারণে লোকবল শুন্যতায় ঐ সমস্ত সেবা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালগুলি ময়লা আবর্জনা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরিনত হয়েছে।
জানা যায় যখন ডাক্তার নার্সরা করোনা কোভিড-১৯এ আক্রান্ত হয়ে ধরি মাছ না ছই পানির মতো মানুষের পাশে থেকে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন তখন আউট সোসিংএ কর্মরত থাকা কর্মীরা মৃত্যুর ভয়কে জয় করে জীবনের ঝুকি নিয়ে প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলিতে রোগীদের সেবা প্রদানসহ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা থেকে শুরু করে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পাশাপাশি অনেকে কোভিট১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। এসময় কর্মীদের ১২ মাসের বেতন ভাতা আটকা পড়ে যাওয়ার পরও মানুষের সেবা থেকে পিছ পা হয়নি ঐ সমস্ত আউট সোসিং এর কর্মীরা । করোনা এবং বন্যায় যখন সুনামগঞ্জ দূযোর্গের মধ্যে পড়ে এসব কর্মীরা তাদের বেতন পাওয়ার দাবী নিয়ে আন্দেলন সংগ্রাম করে অবশেষে অনেকে জেল ঝুলুমসহ পুলিশের লাঠিপেটা খেয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অনেষ্ট সিকিউরিটি সার্ভিস কম্পানির হয়রানির শিকার হয়েছেন।
এসময় কর্মীদের দাবীর প্রেক্ষিতে সুনামগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ এমপির সহায়তায় নিরঅপরাদ কর্মীরা থানা থেকে মুক্তি পায়। এবং চলতি বছরের গত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অনেষ্ট সিকিউরিটি কম্পানির চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন প্রত্যেক কর্মীর হাতে কমবেশ করে ১২মাসের বেতন তুলে দিতে বাধ্য হন। এবং সকল কর্মীদের সাথে সাথে চাকরীর মেয়াদ শেষ হয়েছে বলে জানিয়ে দেন। এসময় বিপাকে পড়েন ঐ সমস্ত আউট সোসির্ংয়ে কর্মরত কর্মীরা । জানা যায় চাকরীতে যোগ দানের সময় ৫ বছরের মেয়াদে চাকরীর কথা বলে কর্মীদের কাছ থেকে ৫০হাজার থেকে শুরু করে লক্ষ টাকা উপরে নেওয়া হয়েছিল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মনোনীত ব্যাক্তিদের মাধ্যমে।
জানা যায় চাকুরী নেওয়ার সময় সকল কর্মীদের বেতন ব্যাংক চালানের মাধ্যমে দেওয়ার কথা থাকলেও তা নাকরে ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত বেতনের চেয়ে প্রত্যেক কর্মীদের কম বেতন দিয়ে ধামা চাপা দিয়ে আবারও সপদে বহাল রাখার প্রতিশ্রæতি দিয়ে চলেযান।
অভাবের মধ্যে কর্মীরা কমবেতন পেয়ে আনন্দে দিশেহারা হয়েছিল নতুন করে সপদে চাকুরী পাওয়ার আশায়। বেতন পাওয়ার পর কর্মীরা জানতে পারেন তাদের আর চাকরী নেই । অনেক কর্মীরা জানান যে টাকা দিয়ে চাকুরী নিয়েছেন সেই টাকাই ঠিক মত পাননি শুধু শুধু ১ বছর পরিশ্রম করেছেন ঐসমস্ত কর্মীরা। জানা যায় ৩০জুন ২০২০ইং তারিখে মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন করে আউট সোসিং এর মাধ্যমে টেন্ডারের মাধ্যমে লোক নেওয়া হবে। আনন্দের মধ্যে কর্মীরা এখন দুখের সাগরে ভাসছেন । চাকরীর মেয়াদ শেষ হলেও রোগীদের সেবা দেওয়ার অভ্যাস রয়ে গেছে অনেক কর্মীদের। বিনা বেতনে সেবা প্রদানের জন্য পড়ে রয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে। নতুন স্বপ্নের আশায় নতুন করে চাকরীর সন্ধানে। কে দেবে তাদের চাকরী? বর্তমানে হতাশা আর দুশ্চিন্তায় মধ্যে রয়েছেন এসব কর্মীরা।
এছাড়া আরো জানা যায় নতুন করে গত জুন মাসে টেন্ডারের আহŸান জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ এতে চারটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেন্ডার ড্রপ করেছেন কে পবেন কে পাবেন না এই নিয়ে শুরু হয়েছে হাসপাতালের তালবাহানা। রহস্য জনক কারনে লিগ্যাল কাগজ পত্র দেওয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হয়ে যাচ্ছে আন লিগ্যাল । কমিটিতে যারা রয়েছেন তাদের অনিয়মের কারনে টেন্ডার হয়ে গেছে রি টেন্ডার।
বহাল রয়েছেন কাল শক্তির ছায়া একটি প্রতিষ্ঠান। এই নিয়ে শুরু হয়েছে গুনজনের সমালোচনা যে কিনা সুনামগঞ্জ ২৩৪জন মানুষের ভাগ্যে কুড়াল মারার ফন্দি তৈরি করছেন। কর্মীদের দাবী তারা করোনা কালিন সময়ে মৃত্যুকে সাথী করে মানুষের সেবা প্রদান করেছে তাদের আবার চাকুরী করার সুযোগ দেবেন কর্তৃপক্ষ এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন অভিজ্ঞ কর্মীরা। জানা যায় বর্তমানে টেন্ডার ড্রপিংয়ের ৬মাস পেরিয়ে গেলেও ও কর্র্তপক্ষের অনিয়মের কারনে মামলা রুজু হওয়ায় সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল সহ ১১টি উপজেলার স্বাস্থ্য কম প্লেক্স গুলোতে ২৩৪টি আউটসোসিং পদে কর্মী নিয়োগ স্থগিত রয়েছে। যার ফলে ঠিকমত সেবাপাচ্ছে না সাধারণ রোগীরা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রয়েছে হাসপাতাল ও সেবা কেন্দ্রগুলি। অনিয়ম ও দূর্নীতির সঠিক তদন্ত করে স্বল্প সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্য সেবার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে এবং সঠিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে নিয়োগ কাজ দিতে উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন এমনটাই দাবী জানান ভোক্তভোগী ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ জনগন।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর