রোজা পালনকারীর করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা প্রায় নগন্য – ব্রিটিশ গবেষণা

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG-20210402-WA0029

নিউজ ডেস্ক : চলতি মাসের মাসের মাঝামাঝি (১৪ এপ্রিল) নাগাদ শুরু হবে ইসলাম ধর্মের অন্যতম ধর্মীয় অংশ বা রীতি রোযা। রোযা বা উপবাস রাখতে হলে ভোররাতে (সেহরি) খেতে হয় আর সন্ধ্যায় (ইফতারের মাধ্যমে) তা ভাঙতে হয়। অর্থাৎ দেখা যায় প্রায় ১৪-১৫ ঘণ্টা খালি পেটেই থাকতে হয়। করোনা পরিস্থিতিতে রোযা রাখা নিয়ে এক সমীক্ষা করে ব্রিটিশ সংস্থা। সমীক্ষা বলছে, করোনা ষংক্রমণের সময় রোযা রাখাটা অনেকটাই নিরাপদ।

গত বছর রমযানে রোযা পালন করা মুসলমানদের মধ্যে কোভিড-১৯ এ মৃত্যুর হার বাড়েনি। বৃহস্পতিবার পিয়ার রিভিউ জার্নাল অব গ্লোবাল হেলথে এই সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। এতে করোনাকালে রোযা রাখা নিয়ে সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, রমজান মাসে রোযা পালন করা ব্রিটিশ মুসলমানরা করোনা ভাইরাস সংক্রমণে মারা গেছেন এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

সমীক্ষায় রিপোর্টে বলা হয়েছে, ব্রিটেনে প্রায় ত্রিশ লাখ মুসলিম ধর্মাবলম্বীর বাস। এদের বেশিরভাগই দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত। মহামারির সময়ে অন্যান্য গোষ্ঠীর মতো বহু মুসলমান কমিউনিটি নির্বিচারে আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, রমযান সংশ্লিষ্ট আচার-আচরণের পালনকারী সঙ্গে কোভিড-১৯ এ মৃত্যুর কোনও খবর নেয়।

করোনা ভাইরাসের মৃত্যুর হার নিয়ে করা তুলনামূলক এক সমীক্ষা রিপোর্টেও বলা হয়েছে, গত বছর ব্রিটেনে প্রথম দফার সংক্রমণ চূড়ায় পৌঁছানোর কয়েক দিনের মাথায় ২৩ এপ্রিল থেকে রোযাশুরু হয়। দেশজুড়ে চলা লকডাউনের কারণে এই মাসের সাধারণ উৎসব এবং মসজিদে নিয়মিত প্রার্থনা বাতিল করা হয়। ওই সময়ে অন্তত ২০ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত বহু এলাকায় মৃত্যুর হার বিশ্লেষণ করে দেখেছেন গবেষকরা। তারা দেখেছেন রমযানে মৃত্যুর পরিমাণ ধীরে ধীরে কমে গেছে। রমযানের পরেও অব্যাহত থাকে এই প্রবণতা। তাই রমযান মাসে রোযা রাখায় করোনা সঙক্রমণের হার কমার পক্ষেই সওয়াল করেছে ওই ব্রিটিশ সমীক্ষা রিপোর্ট।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর