জম্মু কাশ্মীর আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ, কাশ্মীরি ও মুসলিমদের কোণঠাসা করা হচ্ছে, মোদি সরকারের ধর্মীয় গোঁড়ামির কঠোর সমালোচনায় ব্রিটেন

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG_20210115_151535

নিউজ ডেস্ক : জম্মু-কাশ্মীর ব্রিটেনের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং জম্মু কাশ্মীরের ওপর মোদি সরকারের মাত্রাতিরিক্ত অবরোধ নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছেন তারা। এমনটা জানিয়েছেন ব্রিটেনের এশিয়া বিষয়ক মন্ত্রী। জম্মু কাশ্মীরের পরিস্থিতি ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত হবার পর থেকে রীতিমতো উদ্বেগজনক বলে তিনি জানিয়েছেন। এছাড়াও জানানো হয়েছে ভারত বর্ষ জওহরলাল নেহেরু দেখানো ধর্মনিরপেক্ষ পথ থেকে সরে ধর্মীয় গোঁড়ামির পথ বেছে নিয়েছে মোদি সরকারের আমলে যেখানে কোণঠাসা করা হচ্ছে ধর্মীয় সংখ্যালঘু মুসলিমদের।

ভারত ও পাকিস্তানের কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে এক বিতর্কসভা অনুষ্ঠিত হয় পার্লামেন্টের ওয়েস্ট মিনিস্টার হলে। সেই বিতর্ক সভাতেই ব্রিটেনের এশিয়া বিষয়ক মন্ত্রী নাইজেল অ্যাডমস দাবি করেন, “কাশ্মীরের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।” তবে তিনি বলেন, “এই সমস্যার সমাধান করতে পারে ভারত ও পাকিস্তান। লন্ডন মধ্যস্থতা করবে না।” কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে দু’দেশের সঙ্গেই বরিস জনসন সরকারের প্রতিনিধিরা আলোচনা চালাচ্ছে বলে দাবি করেন অ্যাডামস। ওই বিতর্কসভায় ভূস্বর্গের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও জমায়েতের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পক্ষেও সওয়াল করেন তিনি।

 

নাইজেল অ্যাডমস আরও জানান, “জম্মু ও কাশ্মীর ব্রিটেনের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতাদের আটক এবং সেখানকার বিধিনিষেধ নিয়ে ভারত সরকারের কাছে আমরা বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। বিদেশ সচিব ডমিনিক রাব ভারত সফরে নয়াদিল্লির প্রতিনিধির কাছে বিষয়টি উত্থাপন করেছেন।” স্বাভাবিকভাবেই ব্রিটেনের মন্ত্রীর এমন মন্তব্যের জেরে প্রবল অস্বস্তিতে মোদি সরকার। তাঁদের অস্বস্তি আরও বাড়িয়েছে ব্রিটেনের বিদেশনীতি বিষয়ক পরামর্শদাতাদের একটি রিপোর্ট।

ওই রিপোর্টে ভারতকে চিন, সৌদি আরব ও তুরস্কের সঙ্গে ‘ডিফিকাল্ট ফোর’ গোষ্ঠীতে রাখা হয়েছে। কারণ হিসেবে রিপোর্টে কূটনীতিবিদরা বলেছেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ নীতির জেরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অর্থাৎ মুসলিম, খ্রিস্টানরা ক্রমাগত কোণঠাসা হচ্ছে। নেহরু নির্ধারিত ধর্মনিরপেক্ষ অবস্থান থেকেও ক্রমশ সরে যাচ্ছে ভারত। পাশাপাশি ভারতে অত্যধিক আমেরিকা ঘনিষ্ঠতাকেও ভাল চোখে দেখছে না ব্রিটেন। এ সমস্ত কারণেই ভারতকে আর অতিরিক্ত সুবিধা না দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন ব্রিটেনের ওই পরামর্শদাতারা।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর