তৃণমূলের গোষ্টিদ্বন্দের সুযোগে ওয়াকফ সম্পত্তি দখল করে পার্টিঅফিস বিজেপির

নিজস্ব প্রতিবেদক,এনবিটিভি,জলপাইগুড়ি: ওয়াকফ সম্পতি দখল করে রাখার ঘটনা রাজ্যে অহরহ। তা উদ্ধার করতে গিয়ে কার্যত হিমশীম খেতে হয় ওয়াকফ বোর্ডকে। এবার সেই ওয়াকফ সম্পত্তির উপর রাজনৈতিক দলের পার্টি অফিস । সম্পত্তিকে নিজেদের দাবি করে পার্টি অফিস বানাল বিজেপি। এর পেছনে তৃণমূলের গোষ্ঠিদ্ব›দ্ব রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শাসক দলের জলপাইগুড়ি জেলার দলীয় সভাপতি ও জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধানের লড়াইয়ের মাঝে মুসলিম সম্প্রদায়ের ওয়াকফ সম্পত্তি দখল নিল বিজেপি। যেখানে চারতলা পার্টি অফিস গড়ে তুলতে চলেছে গেরুয়া শিবির।

সম্পতি এক নামকরা বৈদ্যুতিন সংবাদক মাধ্যম (এবিপি আনন্দ) এই খবর সম্প্রচার করে। যেখানে দেখানো হয়েছে জলপাইগুড়ি পুরসভা এলাকার মধ্যে ওয়াকফ সম্পত্তির উপর বিজেপির জেলা পার্টি অফিস তৈরি হচ্ছে। এবং তা তৈরি করার জন্য অনুমোদন দিয়েছেন পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান। কিন্তু এতে আপত্তি জানিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। তিনি বলেন,‘ওটা ওয়াকফ সম্পত্তি। তার উপর কিভাবে একটি বিল্ডিং তৈরির অনুমতি দিল পুরসভা।’ এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। ওয়াকফ সম্পত্তি দখল করার অভিযোগ নতুন নয়। কিন্তু এই সময়েও, যখন মানুষ আগের থেকে অনেক বেশি সচেতন, তখনও ওয়াকফ সম্পত্তি দখল করা হচ্ছে। যদিও, তৃণমূলের পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান আবার বলেছেন, সমস্ত বৈধ নথিপত্র খতিয়ে দেখেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তিনি আবার তাঁর দলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তাঁর কথায়, তিনি অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে ভুল কিছু করেননি। অর্থাৎ, তাঁরও বক্তব্যে স্পষ্ট ওই জমি ওয়াকফ সম্পত্তি নয়। বিজেপির দাবি, তাঁর এক ব্যক্তির থেকে ওই জমি ক্রয় করেছেন। তার পর মিউটেশনও করা হয়েছে। বিএলআরও অফিসে সব নথি রয়েছে। সঠিক নিয়ম মেনেই আমরা দলের অফিস তৈরি করেছি।

যে যার পক্ষে মত প্রকাশ করলেন। তৃণমূলের গোষ্ঠী কন্দলের ফয়াদা বিজেপি নিচ্ছে কিনা সেটা দেখার। আর সেটা করতে গিয়ে ওয়াকফ সম্পত্তিও বদল হচ্ছে। এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আবদুল গনি বলেন, ইতিমধ্যে জলপাইগুড়ির বিষয়টি মৌখিক ভাবে একজন জানিয়েছেন। সোমবার তিনি লিখিত ভাবে দেবেন। বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর শুরু হয়েছে। নির্দিষ্ট অভিযোগ এলেই তদন্ত শুরু হবে।

Latest articles

Related articles