নিউজ ডেস্ক : বাইডেনের এনসি ডিরেক্টর পদে নিযুক্ত হলেন কাশ্মীরি বংশোদ্ভূত সমীরা ফজিলি।বেশ কিছুদিন আগে কাশ্মীরে লাঘু হওয়া জননিরাপত্তা আইনে বন্দী করা হয়েছিল কাশ্মীরের এক বিখ্যাত ব্যবসায়ী মুবিন শাহ কে। মুবিন শাহকে বন্দি মুক্ত করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন কাশ্মীরি বংশোদ্ভূত সমিরা ফজলি ও তার পরিবার। সমিরা ফজিলি কাশ্মীরি বংশোদ্ভূত হলেও থাকেন আমেরিকায়। ওবামার সময় থেকে তিনি সেখানকার এনসি ডিরেক্টর। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার অপ্রত্যাশিতভাবে জননিরাপত্তা আইন বলবৎ করে বহু রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক এবং ব্যবসায়ীদেরকে বন্দী করে রাখে। তার মধ্যে ফেঁসে গিয়েছিলেন সমিরার খুড়তুতো দাদা মুবিন শাহ।
আমেরিকা থেকেই সমিরা উদ্ধার করার চেষ্টা করেন খুড়তুতো দাদা মুবিন শাহকে। সেখানকার(আমেরিকা) কংগ্রেস আদালতে ভারতের কেন্দ্র সরকারের জালিয়াতি নিয়েও নানা সমালোচনা করেন সমিরা। তিনি কংগ্রেস আদালতে বলেন “আমার দাদা মুবিন কোনো রাজনৈতিক, বা বিচ্ছিন্নতা কারী নন, তিনি সাধারণত কাশ্মীরে থাকেননা। থাকেন মালয়েশিয়া। অতএব তাকে যুক্তিযুক্ত কারণ ছাড়াই গ্রেফতার করা হয়েছে, এবং তাকে কোথায় গ্রেফতার করে রাখা হয়েছে তাও কেউ জানে না”। ওয়াশিংটন থেকে বিশেষ চেষ্টার পর খোঁজ মেলে, মুবিনকে আগ্রায় বন্দি করে রাখা হয়েছে।
এ সময়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রমিলা পাল ওয়াশিংটন কংগ্রেসের সহায়তায় দিল্লি সরকারের কবল থেকে উদ্ধার করেন মুবিনকে। সমীরার পাশাপাশি তার বোন ইউসরা ওয়াশিংটন আদালতে দিল্লি সরকারের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে বলেন,” রাতের বেলা জোরপূর্বক কাশ্মীরি যুবকদের উঠিয়ে আনে ভারতীয় সেনারা”। শেষ পর্যন্ত দিল্লি সরকার শাহ মুবিনের উপর থেকে জননিরাপত্তা আইন তুলে নেয়।
পরবর্তীতে, কাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিংহ বলেন “ফেসবুকের এক সরকারবিরোধী অশ্লীল পোস্ট এ জড়িয়ে যান মুবিন, আর এই কারণে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে”। শাহ মুবিনকে উদ্ধারের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়া সমিরা কে এনসির ডেপুটি ডিরেক্টর পদে নিয়োগ করেন বাইডেন।