নিউজ কর্নার : রাজ্য বিজেপি তে শুরু হয়ে গেছে প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দল ছাড়ছেন বহু নেতাকর্মীরা, সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জেপিন আড্ডার সভায় প্রত্যাশিত জনসমাগমের ১০ শতাংশ ও দেখা যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির জনপ্রিয়তা নির্বাচনের মুখে কমতে শুরু করেছে রাজ্যে। এমত পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতৃত্ব তাদের নামমাত্র উন্নয়নের পরিভাষা বাদ দিয়ে আবার ফিরে গিয়েছে তাদের চিরাচরিত সাম্প্রদায়িকতার পথে। দেশের অর্থনীতি চরম দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকলেও আবার বিশাল মূর্তি তৈরির ও ঘোষণা দেন তিনি। এদিন আবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জয় শ্রীরাম নিয়ে রাজনীতি শুরু করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের পর মমতাও বলবেন জয় শ্রীরাম। তার বক্তৃতার বেশিরভাগ অংশ জুড়েই ছিল সাম্প্রদায়িকতা। তুললেন পাকিস্তান প্রসঙ্গ ও। পাকিস্তান সীমান্ত থেকে হাজার মাইল দূরে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গেও নিজেদের পাকিস্তান তাস চিরাচরিত ভঙ্গিমায় খেলার চেষ্টা করলেন শাহ। বললেন, যদি এখানে জয়ে শ্রীরাম না বলে তো কি পাকিস্তানে বলবে?
আজ কোচবিহারে পৌঁছে পঞ্চানন ভার্মার মূর্তিতে মাল্য দান করে সেখানে এক জনসভায় বক্তৃতা করেন শাহ। সেখানে তিনি নির্বাচনের পর পঞ্চনান ভর্মার মূর্তি তৈরির ও প্রতিশ্রুতি দেন। জনসভায় যোগ দেওয়ার আগে নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে স্থানীয় মদন মোহন মন্দিরে পূজা দিতে ভোলেননি তিনি।
বলেন, “জয় শ্রী রাম এখানে বলবে না তো কি পাকিস্তানে বলবে? জয় শ্রী রাম-এ কেন অপমান লাগে কেন আপনার? গোটা দেশ যেখানে জয় শ্রী রাম (Jai Shri Ram) বলতে গর্ব বোধ করে, সেখানে জয় শ্রী রাম শুনলে মমতা দিদির অস্বস্তি বোধ হয়। একটা বিশেষ সম্প্রদায়কে খুশি করতেই আপনার অপমান লাগে। তাই রাম নামে আপত্তি মমতা দিদির (Mamata Banerjee)। তাঁদের তোষণ করে ভোট পেতে চান। কেন অন্য সম্প্রদায়ের মানুষরা কি ভোটার নন? তবে ভোটের পর মমতা দিদিও জয় শ্রী রাম বলবেন।” ভাষণের শেষে সমবেত জনতাকে নিয়ে ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান তুলতেও এদিন দেখা গেল শাহকে।