নিউজ ডেস্ক : গোঘাটে ভোটারদের এক বিশেষ বিজেপির হয়ে ভোটদানে প্রভাবিত করা হচ্ছে এই অভিযোগে সরব হলেন মমতা ব্যানার্জি। এর পাশাপাশি গোঘাটে ভোটারদের অকারণে মারছে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা। ভোটারদের মারছে, ভোটদানে বাধা সৃষ্টি করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। নির্বাচন কমিশনে এই বিষয়গুলি নিয়ে বারবার অভিযোগ করলেও কমিশনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলেই জানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। সব দেখেও শুনেও নির্বাচন কমিশন নীরব দর্শক হয়ে রয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়ার কোনও উদ্যোগ নেই। এই বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি লেখেন, ‘কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর অপব্যবহার করা হচ্ছে বাংলার ভোটে। একাধিকবার বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হলেও তারা নীরব দর্শক হয়ে থাকছে। তৃতীয় দফার ভোটেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের ভোটারদের প্রভাবিত করছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। একটা বিশেষ দলকে ভোট দিতে বলা হচ্ছে’। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপি ক্যাডারদের মতো আচরণ করছে। এই অভিযোগ কমিশনে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
প্রসঙ্গত, গোঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের ৫৯ ও ৬০ নম্বর বুথে মহিলাদের পরিচয়পত্র দেখছিলেন ডিউটিতে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন শেখ আনসার আলি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে তাঁর অভিয়োগ, ‘পরিচয়পত্র দেখতে চাইতে পারে না কেন্দ্রীয় বাহিনী। এটাই বলার চেষ্টা করি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। তারপরই আমায় মারতে মারতে টেনে নিয়ে গেল বুথের বাইরে। শেষপর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে রক্ষা পেলাম’। এই ঘটনা প্রসঙ্গে মমতা ব্যানার্জি বলেন, নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, ভোটারদের পরিচয়পত্র দেখতে পারবেন না কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। কিন্তু সেই নিয়ম কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা মানছেন না। আর সেই বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে জুটছে মার। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ভোটমুখী বাংলায় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ করছেন মমতা ব্যানার্জি। আর সেইসব বিষয় নিয়ে মমতা ব্যানার্জি সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিচ্ছে কমিশন। তাই তরজা বেড়েই চলেছে।
উল্লেখ্য এই বারে কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আদেশ দিয়েছিল প্রিসাইডিং অফিসারের অনুমতি ছাড়া বুথে প্রবেশ করতে পারবে না। আর কারো পরিচয় পত্র দেখতেও পারে না। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী সেই নির্দেশ অন্যান্য করে অনেকের পরিচয় পত্র দেখছে বাহিনী।