সফিকুল আলম,মালদা,এনবিটিভি:
এমনিতেই করোনা আবহে রাজনৈতিক হাওয়া বদলের চাপে সভা ভরানো নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে। তার মধ্যে তীব্র দাবদাহে মহামারী আবহে দলের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজনৈতিক পেক্ষাপট তুঙ্গে মালদার চাঁচলে । কেন্দ্রীয় বিজেপি কমিটির নির্দেশে মঙ্গলবার ছিল পশ্চিমবঙ্গে ছিল ভার্চুয়াল র্যালি সভা। যা ঘরে বসেই সামাজিক দুরত্ব বিধি মেনে আয়োজন করা। বিকল্প নেই মালদার চাঁচলে। এদিন চাঁচল বিধানসভার প্রতেকটি অঞ্চলে বিজেপির ভার্চুয়াল র্যালি সভা অনুষ্ঠিত হয় ঘরে থেকেই। তবে এদিনের ভার্চুয়াল সভায় চাঁচল ১ নং ব্লকের ভগবানপুর জিপি এলাকায় তৃণমূল ছেড়ে শতাধিক মানুষ বিজেপিতে যোগদান করেছেন বলে দাবী করেছেন চাঁচলের বিজেপি মহল।
এদিন ভগবানপুর জিপি এলাকায় ১১ নং জেলাপরিষদের সংখ্যালঘূ যুব মোর্চার মন্ডল সভাপতি আব্দুল কাইয়ুমের হাত ধরে শতাধিক তৃণমূল সমর্থক বিজেপিতে যোগদান করেছেন বলে খবর। তারমধ্যে অধিকাংশই মহিলা বলে দাবী বিজেপির। যোগদানকারী এক মহিলা বিউটি খাতুন বলেন, লকডাউন আবহে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব আমাদের কোনোরকম সাহায্য করেননি। বিজেপি থেকে উজ্জলা যোজনার গ্যাস থেকে শুরু করে জনধন একাউন্টে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বলে জানিয়েছেন ওই মহিলা।
আরেক তৃণমুল কর্মী মুক্তার হোসেন দাবী করেছেন, ১০ বছর ধরে তৃণমূল করেছি কোনো সুযোগ সুবিধা পেতে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব সহায়তা করেননি। তবে বিগত নির্বাচনে হারভাঙা পরিশ্রমের ফল বিফলে গিয়েছে। তাই আজ বিজেপিতে যোগদান বলে দাবী করেছেন ওই যুবক। এদিনের সভায় সামিল হয়েছিলেন মালদা জেলা বিজেপি কমিটির সম্পাদক দীপঙ্কর রাম সহ চাঁচল ব্লক বিজেপি নেতৃত্ব। তিনি বলেন সামাজিক দুরত্ব বিধি মেনেই আজকের যোগদান পর্ব ও ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
বিজেপিতে যোগদান নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন ভগবানপুর জিপির পঞ্চায়েত সমিতি সদস্য তথা ওই এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সাহাজান আলী।
তিনি বলেন যারা দলে ছিলেন তারা সুবিধাভোগী। আর্থিক প্রলোভনে তারা বিজেপিতে যোগদান দিয়েছেন। তবে শতাধিক নয়! ডজন খানেক কর্মীকে তাড়া শতাধিক দাবী করছেন। ভগবানপুর এলাকায় হাজার হাজার মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করছেন। এবং লকডাউন আবহে আমরা টানা দুমাস মানুষের ঘরে ঘরে ত্রান পৌছে দিয়েছি বলে দাবী করেছেন সাহাজান আলী।