এনবিটিভি ডেস্ক: একজন স্বৈরশাসক ২০০৫ সাল থেকে বুরুন্ডি রাষ্ট্রের ক্ষমতায় বসে শোষণ করে এসেছেন তিনি। তার মতামতের বিরোধী হলেই হাজার হাজার লোককে’গুম’ করে রাখা ক্ষমতাশীল এই স্বৈরশাসক টির মৃত্যকে করোনার মৃত্যু বলে ভাবা হচ্ছে। তবে সরকারিভাবে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন বলে জানা যাচ্ছে।
অান্তর্জাতিক অপরাধ অাদালত বহিষ্কৃত বিশ্বের একমাত্র রাষ্ট্র বুরুন্ডি। কিন্তু কেন! সবারই জানা, অাদালত সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা চালানো গুম- খুনসহ অন্যায় অবিচার তদন্তের ব্যাপারে ঘোষণা দিয়েছিলো।
শাসকটির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট পিয়েরে কুরুনজিজা। সময়টি ছিল বুরুন্ডির রাজনৈতিক সংকটাপন্ন মূহুর্তে, তৃতীয় দফা ভোটে। বুরুন্ডির গৃহযুদ্ধের বিভিন্ন কলাকৌশল ও অভিজ্ঞতা ছিল। যুদ্ধশেষে শান্তিচুক্তি করা হয়েছিল। তাতে উল্লেখ ছিল যে, দুইবারের বেশি একজন প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। কিন্তু পিয়েরে ২০০৫ এবং ২০১০ সালের নির্বাচনেও ক্ষমতায় বসেন। যার ফলে তার ক্ষমতার মেয়াদ সমাপ্ত হয় ২০১৫ সালে। অথচ নির্বাচনের শেষ মূহুর্তে এসে তিনি আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এটি ছিল শান্তিচুক্তিতে উল্লেখিত নীতিবিরোধী।
স্বৈরশাসকের স্বৈরচারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী জনতা রাজপথে বিক্ষোভ করে। যার ফলে বিক্ষোভ কারী মানুষের উপর নির্মমভাবে হত্যাযজ্ঞ চালায় পিয়েরে বাহিনী। গুম ও খুন হতে থাকে হাজার হাজার মানুষ। বুলেটবদ্ধ হয়ে অনেকে পড়ে থাকে রাস্তায়। প্রকাশ্যেও হত্যা করা হয় বিরোধীদের। রাজধানীর সড়কগুলোতে যেন লাশ স্থুপ হয়ে পড়ে থাকে। স্বৈরচারীর নির্মমতা থেকে বাঁচতে অনেক লোক প্রতিবেশী রাষ্ট্রে আশ্রয় নিতে থাকে। স্বৈরশাসকদের তালিকা লিপিবদ্ধ করতে হলে মানুষ তাকে প্রথম তিনজনের মধ্যেই রাখবে। যা ইতিহাসে কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত থাকবে।