যোগীর উন্নয়নের প্রমাণ দিতে বিজেপিকে চুরি করতে হল মমতার কলকাতা

যোগী জামানায় উন্নয়নের প্রমাণ দিতে বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করতে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পশ্চিমবাংলার ছবি। প্রথম সারির সর্বভারতীয় সংবাদপত্রে যোগী সরকারের বিজ্ঞাপন দিতে দরকার পরেছে দিদির বাংলার। এই নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা। বিজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছে নীল সাদা মা ফ্লাইওভার, ফ্লাইওভারের উপর একান্তই কলকাতার ঐতিহ্য হলুদ ট্যাক্সি, কলকাতার ইএম বাইপাসের চেনা স্কাইলাইন।

বিরোধীদের বক্তব্য, যোগীর বিজ্ঞাপনে কেবল যোগী ছাড়া আর কিছুই উত্তরপ্রদেশ সরকারের নিজস্ব নয়। চুরি এখানেই শেষ নয়। বিজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছে শিল্পের উন্নয়নের ঝলক। কিন্তু সে ঝলকও যোগী রাজ্যের নয়। সেই শিল্পন্নোয়নের ছবির সঙ্গে হুবহু মিলে যাচ্ছে HSE নামক বহুজাতিক সংস্থার ওয়েবসাইটের ছবি।

যদিও খবর ছড়াতেই সেই দৈনিকপত্র ভুল স্বীকার করে নিয়েছে। কিন্তু এত বড় ভুল,তাও এত নাম করা দৈনিকপত্রের কাছ থেকে, কেবলমাত্র ভুল স্বীকার করলেই কি সেই দায় এড়ানো যায়? আর এই দোষ কি শুধুই ওই সংবাদপত্রের? যোগী সরকারের অনুমতি ছাড়া কি এই বিজ্ঞাপন ছাপাতে পারতো ওই সংবাদপত্র? উঠছে প্রশ্ন। আর তাছাড়া যোগী রাজ্যের উন্নয়ন দেখাতে বাংলার ছবি প্রয়োজন কেন? বিজেপি সরকারের মধ্যমণি যোগী আদিত্যনাথ,মোদী-শাহ’র পরেই হাইলাইটেড ফেস ,তার রাজ্যেও কি উন্নতি করেননি মোদীজি? প্রশ্ন সমালোচকমহলের।

তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ ছুড়ে দিয়ে করেছেন টুইট,বলেছেন : যোগী আদিত্যনাথের কাছে উত্তরপ্রদেশে পরিবর্তনের অর্থ বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ছবি চুরি করে নিজের নামে চালানো! মনে হচ্ছে বিজেপির সবচেয়ে শক্তিশালী ঘাঁটিতে মোদীজীর ডবল ইঞ্জিন মডেল ভয়ঙ্করভাবে ব্যর্থ। আর এখন তা প্রকাশ্যে এসে পরেছে।

বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ ঘোষ বলেন, কেস করা হোক,ভুল হলে তার বিচার হবে।তাঁকে জিজ্ঞাসা করে কোনো লাভ নেয়। উত্তরপ্রদেশে গিয়ে দেখে আসতে বলেন উন্নয়ন কাকে বলে,নিয়ম-শৃঙ্খলা কাকে বলে!

এত উন্নয়নের নিদর্শন থাকা সত্ত্বেও যোগীর দিদিকে কেন দরকার পরল?প্রশ্নটা এখানেই। নারী পাচার, ধর্মীয় মেরুকরণ, মেয়েদের নিরাপত্তার অভাব এইসব অভিযোগ নিয়ে সর্বদায় খবরে যোগী সরকার এবার বিজ্ঞাপন ঘোঁটালাতে উঠে এসেছে  সরকারে।

Latest articles

Related articles