কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে ইতি, চার কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা বামফ্রন্টের

 

নিউজ ডেস্ক : সংগঠনের দোহাই দিয়ে একতরফা ভাবে উপনির্বাচনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট সম্পর্ককে কার্যত ইতি টেনে দিল বামেরা। আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যের ৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। এই চার কেন্দ্রের জন্য শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে। এদিন প্রার্থী ঘোষণা করে দিল রাজ্য বামফ্রন্ট। আর সেটাও প্রদেশ কংগ্রেসকে বিন্দুমাত্র না জানিয়ে। কংগ্রেসের জন্য কোনও আসনও ছাড়েনি বামেরা। এই অবস্থায় দুই শিবিরের জোট যে আপাতত বানের জলে ভেসে গেল সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। স্বাভাবিক ভাবেই বামেদের এই একতরফা সিদ্ধান্তের জেরে এখন প্রশ্ন উঠেছে, শুধুই ভোটের সময়ে মমতা আর তৃণমূল বিরোধীতার দোহাই দিয়ে কংগ্রেস বা আইএসএফের সঙ্গে জোট গড়ে রাজ্য রাজনীতিতে কী তাঁদের প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখতে পারবে বামেরা!

 

আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যের চার কেন্দ্রের উপনির্বাচন (West Bengal By-Election)। এই চার কেন্দ্রের জন্য শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) ইতিমধ্যেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে। সোমবার তালিকা প্রকাশ করল বামেরা। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে পরীক্ষিত মুখকেই গুরুত্ব দিয়েছেন বিমান বসুরা (Biman Bose)। চার কেন্দ্রের মধ্যে দুই কেন্দ্রে প্রার্থী দেবে সিপিএম। ফরওয়ার্ড ব্লক এবং আরএসপি (RSP) প্রার্থী দেবে একটি করে কেন্দ্রে।

দিনহাটা কেন্দ্র থেকে ফরওয়ার্ড ব্লকের টিকিটে লড়বেন আব্দুর রউফ। তিনি ফরওয়ার্ড ব্লকের পুরনো সৈনিক। একটা সময় বিধায়কও ছিলেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও দিনহাটায় প্রার্থী ছিলেন রাউফ। দক্ষিণ ২৪ পরগণার গোসাবা কেন্দ্রে আরএসপির তরফে প্রার্থী করা হয়েছে অনিল চন্দ্র মণ্ডলকে। নদিয়ার শান্তিপুরে সিপিএমের টিকিটে লড়বেন সৌমেন মাহাতো। দীর্ঘদিন দলীয় সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সৌমেন এলাকায় সমাজসেবী হিসাবে পরিচিত। এই শান্তিপুর কেন্দ্রে ২০১৬ সাল থেকে লড়ে আসছে কংগ্রেস প্রার্থীরা। এবার কংগ্রেসকে না জানিয়েই প্রার্থী ঘোষণা করল বামফ্রন্ট। খড়দহে ২০২১ বিধানসভার প্রার্থী দেবজ্যোতি দাসকেই ফের টিকিট দেওয়া হল। শিক্ষিত এবং মার্জিত মুখ হিসাবেই ফের অগ্রাধিকার পেলেন তিনি।

চার কেন্দ্রের মধ্যে দিনহাটা এবং শান্তিপুরে জয়ী হয়েছিল বিজেপি৷ খড়দহ এবং গোসাবায় জিতেছিল তৃণমূল৷ দিনহাটা এবং শান্তিপুরের জয়ী দুই বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকার সাংসদ পদ ধরে রাখতে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন৷ আর খড়দহ ও শান্তিপুরের জয়ী তৃণমূলের কাজল সিনহা ও জয়ন্ত নস্করের মৃত্যুতে আসন দু’টি খালি হয়েছে৷

ভবানীপুরে প্রার্থী না দিয়েই কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব বুঝিয়ে দিয়েছিল, জাতীয় স্তরে বিজেপি-কে পরাস্ত করার স্বার্থেই এখন বামেদের থেকে তৃণমূলের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলতে অনেক বেশি আগ্রহী তারা৷ সেই বার্তা দিতেই ভবানীপুরে উপনির্বাচনে প্রার্থীও দেয়নি কংগ্রেস৷ তাছাড়া বামেদের সঙ্গে জোট করেও বিধানসভা নির্বাচনে খাতা খুলতে পারেনি কংগ্রেস৷ ফলে জোট করার যৌক্তিকতা নিয়ে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির মতো কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বও প্রশ্ন তুলেছিল৷

Latest articles

Related articles