বারানসিতে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির লাগোয়া জ্ঞানবাপী মসজিদের জায়গায় আগে মন্দির ছিল বলে দাবি করেছে হিন্দু পক্ষ।
আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (এএসআই) জরিপের প্রতিবেদনে এমনই তথ্য উঠে এসেছে বলে দাবি করেছে তারা।
এর আগে জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে পূজা–অর্চনার দাবিতে আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে বারানসি জেলা আদালত মসজিদ চত্বরে এএসআইকে দিয়ে জরিপ করার নির্দেশ দেয়।
হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণুশঙ্কর জৈনের দাবি, যে কাঠামোর ওপর মসজিদ তৈরি হয়েছে, তাতে হিন্দুদের মন্দিরের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ওই প্রতিবেদনটি গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর বারানসি জেলা আদালতে জমা দেওয়া হয়। পরে আদালতের নির্দেশে হিন্দু ও মুসলমান দুপক্ষকেই সেই প্রতিবেদন জমা দিতে এএসআইকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
অযোধ্যায় রামমন্দির আন্দোলনের সময় থেকেই হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো কাশীর জ্ঞানবাপী ও মথুরার শাহি ঈদগাহ মসজিদ নিয়ে সোচ্চার ছিল। তাদের দাবি ওই দুই মসজিদের জায়গায় আগে বিশ্বনাথ মন্দির ও কৃষ্ণ জন্মভূমি ছিল।
১৯৯১ সালের ধর্মস্থান আইন উপক্ষো করেই হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো নতুন করে ধর্মস্থান উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘জ্ঞানবাপীর দেয়ালগুলো কাঁপছে। ওটাকে মসজিদ বলা হলে তা বিতর্কের কারণ হয়ে উঠবে। দ্বন্দ্ব দেখা দেবে। মসজিদে ত্রিশূল কী করে থাকে? জ্যোতির্লিঙ্গ? দেব প্রতিমা? আমরা তো ওসব রাখিনি?’
ঐতিহাসিক ভুল হয়ে গেছে উল্লেখ করে যোগী বলেছেন, ভুল শোধরানো প্রয়োজন। সমাধান প্রয়োজন। সেই প্রস্তাব মুসলমান সমাজের দিক থেকেই আসা দরকার।