এনবিটিভি: দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাঙড়ে ফের আক্রান্ত গনতন্ত্রের চতুর্থস্তম্ভ! অভিযোগ শাসকের বিরুদ্ধে। ঘটনার তীব্র নিন্দা বিশিষ্টজনদের। মিটিং ছেড়ে চলে যাওয়া ব্যাক্তিদের ছবি তুলতে গেলে আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ।
রবিবার বিকালে ভাঙড় ১এ তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ডাকে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে সভা চলছিল। ঘটকপুকুর হাই স্কুল মাঠে তখন উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাসীষ চক্রবর্তী, যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সওকাত মোল্লা, ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম, ভাঙড় ২ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ ভাঙড় ১ ও ২ ব্লকের নেতৃত্ব। তাঁদের উপস্থিতিতে অতর্কিতে হামলা চালান তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। এমনকি হামলার অভিযোগ সওকাত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল যুব নেতা ছাদেক লস্করের বিরুদ্ধেও। ছাদেক ক্যানিং ২ ব্লক যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি বলে জানা গেছে।
এদিন সভার শুরু থেকেই সভাস্থল ছেড়ে চলে যেতে দেখা যায় অনেককে। জেলা সভাপতি সুভাসীষ চক্রবর্তীও যখন বক্তব্য রাখছেন, তখনও সভাস্থল ছেড়ে যাচ্ছেন অনেকে। সেই ছবি ক্যামেরাবন্দী করতে গিয়েই তৃণমূলের রোষানলে পড়েন সংবাদ মাধ্যমের দুই কর্মি।
ঘটনায় সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে ও আবদুর রহমান কাজী নামে দুই সাংবাদিক আহত হয়েছেন। চশমা ভেঙে যায় সাদ্দাম হোসেন মিদ্দের। জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয় আব্দুর রহমান কাজীর।
উন্মুক্ত তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকদের হাত থেকে দুই সাংবাদিককে উদ্ধার করে ভাঙড় থানার পুলিশ। অভিযোগ শাসকদলের জেলার শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকলেও কেউ সাংদিকদের বাঁচাতে আসেনি! পার্টির পক্ষ থেকে কোন বিবৃতি ও দেওয়া হয়নি। শীর্ষ নেতাদের নির্দেশেই সংবাদ মাধ্যমের উপর আক্রমণ বলেই অনেকে আশঙ্কা করছেন। প্রাথমিক অবস্থায় পুলিশ সাংবাদিকদের উদ্ধার করলেও পরবর্তী পদক্ষেপ ভালো করেনি। উদ্ধারের নামে কার্যত তাদের আটক করা। হয়! কেড়ে নেওয়া হয় মোবাইল। লকাপের সামনে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখা হয়। সাংবাদিকরা জল চাইলেও দেওয়া হয়নি! ভাঙড় থানার ওসি সমরেশ ঘোষ কার্যত সাংবাদিকদের উপরেই দোষ চাপানোর চেষ্টা করে! ওসি বলেন, ঘটনা নিয়ে বেশি দূর না এগোনোই ভালো। এমনকি বলেন, তোমরা কোন যুক্তিতে ছবি তুলছিলে? তোমাদের মোটিভ কি ছিল?
ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিশিষ্টরা। নিন্দা করেছে ইন্ডিপেন্ডডেন্ট জার্নালিস্টস এসোসিয়েশন ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা প্রেস ক্লাব। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন ন্যাশনাল এন্টি ট্রাফিকিং কমিটি চেয়ারম্যান শেখ জিন্নার আলি।