করোনার মুক্তি পতঞ্জলির ‘করোনিল’ ওষুধে, চাপে পড়ে ভোলবদল

এনবিটিভি ডেস্কঃ বিশ্বজুড়ে চলছে করোনার মহামারী। করোনার ডামাডোলে ২৩ জুন রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি দাবি করেছিল, পতঞ্জলি সংস্থা ওষুধ প্রস্তুত করে ফেলেছে। এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতে পতঞ্জলি নিজেদের অবস্থান থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে জানিয়ে দিল, পতঞ্জলি কখনোই করোনার ওষুধ তৈরির কথা বলেনি৷ উত্তরাখণ্ড ড্রাগ ডিপার্টমেন্টের নোটিসের জবাবে এভাবেই ডিগবাজি খেল পতঞ্জলি।

করোনার ওষুধের বিষয়ে পতঞ্জলিকে নোটিস দিয়েছিল উত্তরাখণ্ডের আয়ুর্বেদ দপ্তর৷ তাঁরা জানান, পতঞ্জলি লাইসেন্সের জন্য আবেদনপত্রে করোনা ভাইরাসের কোনও কিছু উল্লেখ করেনি৷ তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ওষুধ হিসেবেই লাইসেন্স অনুমোদন করা হয়েছিল৷সেই নোটিসের জবাবে পতঞ্জলির দাবি করেছে, করোনা কিট নামে কোনও ওষুধ তৈরি করেনি পতঞ্জলি। শুধু দিব্য স্বসারি ভাতি, দিব্য করোনিল ট্যাবলেট ও দিব্য অনু তেল– এই তিন ওষুধকে একসঙ্গে প্যাকেট করা হয়েছে , বাইরে পাঠানোর সুবিধার্থে৷ এছাড়া করোনিল নামেও কোনও ওষুধ বাণিজ্যিক ভাবে বিক্রি করা হয়নি৷ যাতে করোনা সেরে যায়৷ শুধু ওষুধের ট্রায়ালে সাফল্য মিলেছে৷ সেটাই মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে অন্যভাবে । শনিবার জয়পুরের জ্যোতিনগর থানায় যোগগুরুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
পাশাপাশি পতঞ্জলির সিইএ আচার্য বালকৃষ্ণ, বৈজ্ঞানিক অনুরাগ বর্ষণেই, এনআইএমএসের চেয়ারম্যান ড. বলবীর সিং তোমার এবং অধিকর্তা ড. অনুরাগ তোমারের বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করা হয়। অভিযোগের কারন হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে করোনা সংক্রমণ প্রতিহত করতে পারা ওষুধ ‘করোনিল’ এর প্রচার। যাতে বিভ্রান্তের শিকার হয়েছেন সাধারণ মানুষ। অভিযোগ দায়ের করেন রাজস্থান হাইকোর্টের আইনজীবী বলরাম জাখর।

Latest articles

Related articles