এনবিটিভি,সফিকুল আলম,হরিশচন্দ্রপুর :
দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে পড়েছে রাস্তা। চলাচলের অনুপযোগী রাস্তা গ্রামবাসীদের কাছে দুর্ভোগের কারণ হয়ে উঠেছে। পঞ্চায়েত থেকে ওই রাস্তা নির্মাণে ইতিমধ্যেই বোর্ড টাঙানো হয়েছে,কিন্তু বোর্ড টাঙানোর ৬ মাস অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরও এখনো রাস্তার কাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনাটি ঘটেছে হরিশচন্দ্রপুর থানা এলাকার ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের কানুয়া ভবানীপুর এলাকায়।
এই গ্রাম পঞ্চায়েতের কানুয়া ভবানীপুর এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল গুলজার, আশরাফী বিবি প্রমুখেরা জানাচ্ছেন কানুয়া ভবানীপুর এলাকার রহমত পুর এলাকার রমজানের বাড়ি থেকে গোপালের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটির দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকার পঞ্চায়েতে আবেদন নিবেদন জানিয়েছিলাম। পরে দেখতে পেলাম এই রাস্তা নির্মাণের জন্য বোর্ড বসানো হচ্ছে। বোর্ড বসানোর প্রায় সাত মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেল এখনো পর্যন্ত এই বেহাল রাস্তা নির্মাণে কোন কাজ করার উদ্যোগ দেখা গেলো না পঞ্চায়েতের। এই নিয়ে আমরা চিন্তায় রয়েছি আদৌ কি রাস্তা নির্মাণ হবে ?
ইসাদপুর এলাকার এক গ্রাম পঞ্চায়েত মেম্বার অমল চন্দ্র সাহা জানান এই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় কোথায় রাস্তায় প্রয়োজন তা আমরা সার্ভে করে পঞ্চায়েতে জমা করেছি। পঞ্চায়েত থেকে তার কাজও শুরু হয়েছে। কিন্তু কাজে এতো দেরি হচ্ছে এর সমস্ত দায় ঠিকাদারের জন্য।তবু আমরা চেষ্টা করছি যাতে বাকি কাজগুলো খুব তাড়াতাড়ি করে দেওয়া যায়।
এ প্রসঙ্গে ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিমানবিহারী বসাক জানান চলতি অর্থবর্ষে এই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৪০ টা মতো রাস্তার কাজ হবে। তার মধ্যে বেশিরভাগেরই টেন্ডার ওয়ার্ক অর্ডার হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে এনআরজিএস এর নিয়ম অনুযায়ী জিও বার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিসপ্লে বোর্ড ওই এলাকায় লাগিয়ে দিতে হয়। তার কিছুদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যায়। কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা রয়েছে যার জন্য একটু দেরি হচ্ছে। আশা করি ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যেই পঞ্চায়েতের পড়ে থাকা রাস্তার কাজ গুলি শুরু হয়ে যাবে।