নিউজ ডেস্ক : ধর্মীয় কারণ দেখিয়েই মায়ানগরী থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। কর্নাটক হিজাব বিতর্কে এ বার মুখ খুললেন জায়রা ওয়াসিম। তাঁর মতে, হিজাব ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের ব্যাপার নয়, বরং সর্বশক্তিমানের প্রতি সমর্পিত থাকার বাধ্যবাধকতা। কিন্তু বর্তমানে ধর্মীয় প্রতিশ্রুতি পালনে নারীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে এবং হেনস্থা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন জায়রা। কর্ণাটকের স্কুল-কলেজে হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর নিন্দা করেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে একটি দীর্ঘ পোস্টে হিজাবের পক্ষে সওয়াল করে জায়রা জানিয়েছেন, ইসলামে হিজাব আসলে বাধ্যবাধ্যকতা, কোনও পছন্দ-অপছন্দের বিষয় নয়।
তাঁর মতে, ”হিজাব উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত একটি পছন্দ, এই ধারণা একেবারেই অজ্ঞানতাপ্রসূত। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটা অজ্ঞতা থেকেই আসে। হিজাব ইসলামে কোনও বিকল্প নয়, এটা একটা দায়িত্ব। একজন মহিলা যখন হিজাব পরেন, তখন তিনি সেই দায়িত্ব পালন করেন যা তিনি আল্লার থেকে পেয়েছেন। যাকে তিনি ভালবাসেন এবং যাঁর কাছে নিজেকে সমর্পণ করেছেন।” সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ”আমি একজন মহিলা হিসেবে কৃতজ্ঞতা ও বিনম্রতার সঙ্গে হিজাব পরি।” মুসলিম মেয়েদের শিক্ষা এবং হিজাবের মধ্যে যে কোনও একটিকে বেছে নিতে বলা অবিচার বলেও মন্তব্য করেন জায়রা। তিনি লেখেন, ‘মুসলিম মেয়েদের প্রতি এই বিরূপ আচরণ, এমন একটি ব্য়বস্থা গড়ে তোলা, যেখানে শিক্ষা এবং হিজাবের মধ্যে একটিকে বেছে নিতে বলা হয়, তা চূড়ান্ত অবিচার। নিজেদের বিশেষ উদ্দেশ্যর সঙ্গে খাপ খায়, তার জন্য মুসলিম মেয়েদের নির্দিষ্ট করে একটি বেছে নিতে বলা হচ্ছে। তার পর নিজেদের তৈরি ফাঁদে ফেলে আবার সমালোচনাও করা হচ্ছে তাদের। অন্য উপায়ে এটা করা যাবে না। এটা বিরূপ আচরণ বই অন্য কিছু নয়।’