দেশের সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে বিজেপি সরকার কোনও ভেদাভেদ করে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘আমি ইসলাম ও মুসলিমবিরোধী নই। বিরোধীরা আমার সম্পর্কে অপপ্রচার চালাচ্ছে। মুসলিম সম্প্রদায়কে আমি আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা আত্মসমীক্ষা করুন এবং উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন কারা আপনাদের ভালো চায়।’
মুসলমানদের প্রতি তার সরকারের অবদান তুলে ধরে মোদি বলেন, ‘তবে মুসলিম মা বোনেরা এটি উপলব্ধি করেছেন যখন আমি তিন তালাকবিরোধী আইন করে তাদের ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিয়েছি। তারা ভালোভাবেই বুঝেছেন কে তাদের ভালো চান।’
কোভিড ভ্যাকসিন এবং আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্যবিমা কার্ডের বিষয় উল্লেখ করে মোদি বলেন, ‘মুসলিম ভাই-বোনেরা জানেন আমি একজন সাচ্চা ব্যক্তি। কোনও ভেদাভেদ আমি করিনি। আমি কখনও বলিনি মুসলিমরা সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন না। বরং আমি বলেছি, ধর্মের ভিত্তিতে তা দেওয়া যায় না। মুসলিম, খ্রিষ্টান, হিন্দু, পার্সি নির্বিশেষে সব ধর্মের গরিব মানুষ সংরক্ষণের সুবিধা প্রাপ্য। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরাও এখন বুঝে গেছেন যে, এই ভোটব্যাংক রাজনীতিবিদদের থেকে তাদের এখন দূরে থাকাই শ্রেয়।’
তিন তালাকের প্রসঙ্গ টেনেও কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন মোদি। তিনি বলেন, ‘তিন তালাকের ফলে কত মেয়ের জীবন যে নষ্ট হয়েছিল। শুধু তাদের জীবনই নষ্ট হতো না, দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকতেন তাদের পরিবারও। তবে তিন তালাক বিষয়ে আইন করে মোদি তাদের জীবনকে সুরক্ষিত করেছে।’
হজযাত্রার সুবিধার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রথমদিকে হজের কোটা কম থাকায় অনেক সমস্যা হতো। এর মধ্যে টাকা লেনদেনের বিষয়টিও ছিল। শুধু হাতে গোনা কিছু লোক হজে যেতে পারতেন। আমি ক্ষমতায় আসার পর সৌদি যুবরাজের কাছে ভারতীয় মুসলমানদের হজের কোটা বাড়ানোর অনুরোধ করেছিলাম। এতে শুধু যে হজের কোটা বেড়েছে তা নয়, ভিসার নিয়মও আরও সহজ হয়েছে। আগে মুসলিম নারীরা একা হজে যেতে পারতেন না, এখন যেতে পারছেন। ফলে অনেকের হজে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। অনেক মা বোন এ জন্য আমাকে আশীর্বাদ করেছেন।’