এনবিটিভি,নদীয়া: কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পীদের মাথার স্বর্ণমুকুটে আবারও এক নতুন পালক সংযোজন হল। এই প্রথম ডক্টরেট উপাধি পেলেন নদিয়ার কৃষ্ণনগরে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত মৃৎশিল্পী সুবীর পাল। উল্লেখ্য, এই ডক্টরেট উপাধি আগামী দিনে মৃৎশিল্পীদের আরও প্রেরণা যোগাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
নদীয়ার কৃষ্ণনগরে মৃৎশিল্পী সুবীর পাল বংশ-পরম্পরায় ছোট থেকেই মাটির পুতুল তৈরির কাজে যুক্ত। জানা গেছে, তিনি প্রথম ১২ বছর বয়সে “Indian Festival’s”-এ অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান। এরপর থেকে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তার হাতের জাদুতে মাটির তৈরি পুতুলের মধ্য দিয়ে একের পর এক দেশে-বিদেশে খ্যাতি লাভ করেছেন। ইন্ডিয়ান ফেস্টিভ্যালে যোগদানের পাশাপাশি তিনি রাষ্ট্রপতির হাত থেকে জাতীয় পুরস্কার পান। শুধু তাই নয় ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে উজ্জ্বল অক্ষরে তার নাম লেখা রয়েছে।
মূলত, ডক্টরেট উপাধি নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন যে, “সাহিত্য বিভাগ থেকে শুরু করে গুণিতক সহ একাধিক বিষয়ে ডক্টরেট উপাধি রয়েছে। তাহলে মৃৎশিল্পীরা ডক্টরেট উপাধি পাবে না কেন?” এই প্রশ্ন তুলে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করেন তিনি। তাদের পরামর্শে তিনি দিল্লীতে একটি আবেদনপত্র জমা দেন। এরপর তার যে বিভিন্ন শংসাপত্র রয়েছে এবং তার তৈরি পুতুলের যে সুনাম রয়েছে তার উপর ভিত্তি করেই তাকে ডক্টরেট উপাধি দেওয়া হয়।
দিন কয়েক আগেই সেই ডক্টরেট উপাধি সার্টিফিকেট তার বাড়িতে এসে পৌঁছায়। মৃৎশিল্পী সুবীর পাল বলেন, “এটি আমার দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা ছিল। এই সম্মান শুধু আমার নয় গোটা মৃৎশিল্পীদের সম্মান। কারণ এই বাড়তি পাওনা আগামী দিনে মৃৎশিল্পীদের আরও আগ্রহ যোগাবে বলে মনে করেন তিনি।” মৃৎশিল্পী সুবীর পালের ডক্টরেট উপাধি পাওয়ার পর শিল্পী মহলে খুশির আবহের সৃষ্টি হয়েছে।