বিরোধী দলগুলোও তো বন্ডের মাধ্যমে অনুদান পেয়েছেন। এগুলোকে কি ‘চাঁদাবাজি’ বলা যাবে? রাহুল গান্ধীকে উদ্দেশ্য করে এ মন্তব্য করলেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
বাতিল হওয়া নির্বাচনী বন্ড ব্যবস্থা নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে নির্বাচনী বন্ড ব্যবস্থাকে ‘বিশ্বের বৃহত্তম চাঁদাবাজি প্রকল্প’ বলে অভিযোগ করেন রাহুল গান্ধী।
রাহুলের মন্তব্যের সমালোচনা করে অমিত শাহ বলেন, ‘তাদের দলগুলোও বন্ডের মাধ্যমে অনুদান পেয়েছে। এটাও কি চাঁদাবাজি? রাহুল গান্ধীকে অবশ্যই জনগণকে বলতে হবে, হ্যাঁ, আমরাও চাঁদাবাজি করেছি। আর এমপিদের সংখ্যার অনুপাতে আমরা যে পরিমাণ অনুদান পেয়েছি তারা এর থেকেও বেশি পেয়েছে। তাই তারা বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে, কিন্তু সফল হবে না।’
উল্লেখ্য এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প বাতিল করে দেয়। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, এই স্কিমটি অসাংবিধানিক ও স্বেচ্ছাচারী ছিল।
পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ রায়ে বলেছিলেন, কালো টাকা সাদা করা এবং দাতাদের গোপনীয়তা বজায় রাখার উদ্দেশ্য থাকায় প্রকল্পটি বাতিল করা হলো।
পরবর্তীতে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং ভারতের নির্বাচন কমিশনের প্রকাশ করা তথ্য অনুযায়ী বিজেপি এই বন্ডগুলোর মাধ্যমে সর্বাধিক তহবিল পেয়েছে, প্রায় ৬ হাজার ৯৮৬ কোটি রুপি। একইভাবে কংগ্রেস ১ হাজার ৩৩৪ কোটি রুপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস ১ হাজার ৩৯৭ কোটি সংগ্রহ করেছে।