
স্যান্টিয়াগো, চিলি: রিখটার স্কেলে ৭.৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে দক্ষিণ আমেরিকার চিলি ও আর্জেন্টিনার উপকূলীয় অঞ্চল। আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানায়, ভূমিকম্পের উৎপত্তি চিলির দক্ষিণ উপকূলের কাছে। এরপরই দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (এনএসডিপিআর) ম্যাগেলান প্রণালী সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আহ্বান জানায়। চিলির অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলের সমস্ত সৈকতও খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক এক্স (টুইটার)-এ লিখেছেন, “ম্যাগালানেস অঞ্চলের উপকূলীয় এলাকা অবিলম্বে খালি করুন। আমরা জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত।” আর্জেন্টিনার দক্ষিণতম শহর উশুয়াইয়ায় বিগল চ্যানেলে নৌযান চলাচল ও জলক্রিয়া সাময়িক নিষিদ্ধ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে এখনও পর্যন্ত ভূমিকম্পে প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের পরামর্শ, “এই পরিস্থিতিতে শান্ত থাকা ও সরকারি নির্দেশনা মেনে চলা জরুরি।”

গত কয়েকদিনে বিশ্বের একাধিক দেশে মাঝারি থেকে তীব্র ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছে। মায়ানমার-থাইল্যান্ড সীমান্তে রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার কম্পনের মাত্র দুই দিন পর, ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে তুরস্কের ইস্তানবুল। মারমারা সাগর ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল যা ইস্তানবুল থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরতায় হওয়া এই কম্পনে শহরের বহু বাসিন্দা আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, অফিস ও আবাসিক বহুতল ভবনগুলো দুলে উঠলে লোকজন দৌড়ে বেরিয়ে আসছেন। তুরস্কের জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানায়, প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য নেই।
ভূ-বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় “রিং অফ ফায়ার” ও আলপাইড বেল্টের সক্রিয় টেকটোনিক প্লেটগুলো বর্তমানে বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। চিলি-আর্জেন্টিনার ভূমিকম্পও এই অঞ্চলের ভূ-গঠনগত অস্থিরতারই প্রতিফলন।