এনবিটিভি, রাজেন্দ্রনাথ দত্ত, মুর্শিদাবাদ, ২৪ জুলাই: গতবছর এ সময় বৃষ্টির জন্য চাতকের মতো চেয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের জেলার চাষিরা। বৃষ্টির অভাবে সে বার যেমন পাট পচাতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল, তেমনই অন্য চাষেও সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু এবারে তার উল্টো চিত্র দেখা দিল মুর্শিদাবাদে। স্বাভাবিকের তুলনায় এ বারে এখনও পর্যন্ত ৩১ শতাংশ বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ায় জেলার অনেক এলাকায় নিচু জমিতে জল জমে গিয়েছে। এছাড়া লাগাতার ভারী বৃষ্টির কারণে আনাজ চাষেও ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।একদিকে চাষে অন্য দিকে কান্দী মহকুমার ভরতপুর – ১ নং ব্লকের গড্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১ টা মৌজার মধ্যে ৯ টী মৌজার আনুমানিক দশ হাজার বিঘা কৃষি জমি কুয়ে নদীর জলে প্লাবিত । ওই পঞ্চায়েতের চাঁদপুর, কোল্লা, কাশীপুর মৌজার জমি বন্যার জলে প্লাবিত হওয়ায় কৃষকদের মাথায় হাত । সুকদানপুর গ্রামে বন্যার জলে প্লাবিত গ্রামের ২০ টি বসত বাড়ি। ওই গ্রামের রাস্তায় কোথাও এক হাঁটু, কোথাও এক কোমর জল।কাশীপুর জন্য টা ধারী তলার শিশু পার্কে ও বন্যার জল ঢুকে গেছে।সুকদানপুরের কে উদ্ধার করে স্থানীয় প্রাইমারী স্কুলে রাখার ব্যবস্থা করেছেন গড্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ভূলি বেগম মোল্লা, গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য কাজল শেখ, কবিতা দাস, গড্ডা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আতাহার মোল্লা , পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হোসেন রেজা,গ্রামের সমাজসেবীরা।
ভরতপুর – ১ নং ব্লকের ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অঞ্জন চৌধুরী বলেন,গড্ডা, জজান,
গুন্দিরিয়া পঞ্চায়েতের কৃষি জমি জলের তলায়, সুকদানপুর গ্রামে জল ঢুকে যোগাযোগের রাস্তা জলে ডুবে গেছে এবং বেশ কিছু বাড়িতে জল ঢুকেছে , গ্রামে স্বেচ্ছাসেবক রাখা হয়েছে, সমস্ত রকম সাহায্যের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতকে। জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৩০০-১৪০০ মিলিমিটার। গত বছর এই সময় পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ছিল ২৫ শতাংশ। এ বছর জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ যেখানে ৬৫০ মিলিমিটার, সেখানে এবছর এ পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে ৮৫০ মিলিমিটার। স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ৩১ শতাংশ বৃষ্টিপাত বেশি হয়েছে।সূত্রের খবর, গত তিন দিনে জেলায় ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আমপানে অনেক ক্ষতি হয়েছে। প্রায় প্রতিদিন ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
Related articles