হিজাব ইসলামী বিশ্বাসের অপরিহার্য হলেও, তা ধর্মীয় অনুশীলন নয়ঃ কর্ণাটক হাইকোর্ট

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

হিজাবি ছাত্রী।
হিজাবি ছাত্রী।

এনবিটিভি ডেস্কঃ মঙ্গলবার হিজাবের বিরুদ্ধে রায় দিল আদালত। হিজাবের পক্ষে সমস্ত আবেদনকে বাতিল করল কর্ণাটক আদালত। চলতি বছর শুরুতে জানুয়ারি মাসে কর্ণাটকে প্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয় ছাত্রীকে হিজাব পরে ক্লাস করতে বাধা দেওয়া হয়। কলেজ কর্তিপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান না হওয়াতে। পরে কর্ণাটক হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে পড়ুয়ারা।

এদিকে এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন শ্রেণী কক্ষে গেরুয়া শাল পরতে দেখা যায়। সংগঠনের পক্ষ থেকে হিজাব পরে কলেজে আসার বিরোধিতা করতেও দেখা যায়, ফলে ধীরে ধীরে হিজাব বিতর্ক আরও তুঙ্গে ওঠে।

এদিকে রাজ্য নিরাপত্তা ও শান্তি বহাল রাখার জন্য সরকার বেশ কয়েক সপ্তাহ পঠন-পাঠন বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়। এদিকে হিজাব ইসলাম ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অংশ ও ভারতীয় সংবিধানের ধর্মীয় আচার পালনে অধিকারকে উল্লেখ করে আদালতে মামলা দায়ের করেন পড়ুয়ারা।

গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে কলেজের মধ্য হিজাবি শিক্ষিকাদের কেও কলেজের গেটের বাইরে হিজাব খুলতে বাধ্য করা হয়। ফলে দেশ জুড়ে বিতর্কর ঝড় ওঠে। যদিও পরে কলেজ পড়ুয়াদের উপরে হিজাব নিষেধাজ্ঞা বলে জানায় আদালত শিক্ষিকাদের উপরে নয়।

উল্লেখ্য, গত ৩১শে জানুয়ারী, ভারতের সংবিধানের ১৪, ১৯, এবং ২৫ অনুচ্ছেদের অধীনে শ্রেণীকক্ষে হিজাব পরার অধিকার চাওয়া মুসলিম পড়ুয়া কর্ণাটক হাইকোর্টে বেশ কয়েকটি রিট পিটিশন দাখিল করে৷ তাদের পিটিশনের দাবি ছিল যে, হিজাব পরা একটি মৌলিক অধিকার । ভারতের সংবিধান যেখানে সমস্ত ধর্মের প্রচার ও অনুশীলন স্বাধীনতা দিয়েছে। সেখানে হিজাবে কেন  বাধা দেওয়া হচ্ছে।

অবশেষে এগারো দিনের মাথায় প্রধান বিচারপতি রিতু রাজ নেতৃত্বে কর্ণাটক হাইকোর্টের বেঞ্চ মঙ্গলবার সকালে এদিন হিজাবের উপরনিষেধাজ্ঞা বহাল রেখে আদালত জানায় যে, হিজাব পরা ইসলামী বিশ্বাসের অপরিহার্য অংশ তবে ধর্মীয় অনুশীলন নয়।

তবে এদিনের হাই কোর্টের রায়কে অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। ধর্মীও আচার পালনে সংবিধান স্বীকৃত থাকলেও তা বাধার মুখে এক শ্রেনির মানুষ।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর