সামরিক অভ্যুত্থানের পর মায়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরােপের হুমকি দিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মায়ানমারকে এই হুমকি দিয়েছেন। মায়ানমারের ওপর আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করবে বলে জনিয়েছেন তিনি। মায়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সুচি ও তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমােক্রেসির (এনএলডি) শীর্ষ নেতাদের আটক করে সােমবার দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থান করেছে সেনাবাহিনী। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সুচির সরকার উৎখাত করে সেনাবাহিনী দেশটিতে একবছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
আমেরিকা সতর্ক করে বলেছে, সু চিসহ অন্যদের ছেড়ে না দিলে মায়ানমারের বিরুদ্ধে তারা ব্যবস্থা নেবেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, জনগণের ইচ্ছার ওপর কখনও শক্তি প্রয়ােগ করা উচিত নয়।
বিশ্বাসযােগ্য নির্বাচনের ফলাফল নিশ্চিহ্নের চেষ্টাও করা উচিত নয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফেরার পর গত এক দশকে মিয়ানমারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ফের সামরিক শাসনে ফেরায় দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরােপের হুমকি দিল যুক্তরাষ্ট্র।
মায়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্বনেতারা। তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন সুচিসহ অন্য রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে। গত নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে সুচির দল এনএলডি বিপুল জয় পায়। এরপর থেকেই মূলত সঙ্কট ঘনীভূত হতে থাকে। সেনাবাহিনী ও সেনাসমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি নির্বাচনের পর থেকেই ভােটে কারচুপির অভিযােগ করে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার দেশটির নির্বাচন কমিশন এই অভিযােগ প্রত্যাখ্যান করে। গতকালই মিয়ানমারের নবনির্বাচিত পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন বসার কথা ছিল। এর কয়েক ঘণ্টা আগে দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে। প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে সামরিক শাসনে থাকা মায়ানমার ২০১৫ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের স্বাদ পেতে শুরু করে। গত নভেম্বরের নির্বাচনে সেটা কিছুটা ভিত্তি পায়। কিন্তু সােমবার আবার সামরিক জান্তার কবলে চলে গেল দেশটি।