নিউজ ডেস্ক : রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। কিন্তু এখনো রাজ্যের রাজনৈতিক ময়দানে অগোছালো। বাম কংগ্রেসের ছাড়া আর তেমন কোনো রাজনৈতিক দেখা যায়নি এখনো পর্যন্ত। তারমধ্যে উদ্বেগজনক ভাবে ঘর ভাঙছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং কংগ্রেসের। দালের থেকে সব রাজনৈতিক ঠিকানা একটাই, গেরুয়া শিবির। অভিনেতা কৌশিক সেনের মতে গেরুয়া শিবিরের উত্থান রাজ্যের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না। তাই তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে বিজেপিকে রুখতে জোট বদ্ধ হয়ে নির্বাচনে লড়াই করার ডাক দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের আর্থ সামাজিক ব্যবস্থাকে শেষ করে দিচ্ছে বিজেপি ও আরএসএস। যে যে রাজনীতি করুন না কেন, যে মতাদর্শেই বিশ্বাস করুন না, আমি মনে করি, এখন বিজেপির থেকে বড় শত্রু আর কেউ নেই। কংগ্রেস ও সিপিএম-র জোট এই মুহুর্তে খুবই প্রয়োজনীয়।’
এই পরিস্থিতিতে এ রাজ্যে শাসকদলের বিরুদ্ধে লড়তে জোট বেঁধেছে কংগ্রেস (Congress) ও সিপিএম (CPIM)। সেই জোটকে স্বাগত জানিয়ে কৌশিক সেন (Kaushik Sen) বলেন, ‘ভারতীয় রাজনীতিতে যে রোগগুলি একটি রাজনৈতিক দলকে কুড়ে কুড়ে খায়, তৃণমূলে তার সবকটিই আছে। কিন্তু তৃণমূলও বিজেপির মতো বিপজ্জনক নয়, এটাও সত্য।’ তাঁর সতর্কবার্তা, ‘তৃণমূলের মতো শক্তিও যে কীভাবে পরস্পরের মধ্যে ঘর্ষণে শেষ হতে যেতে পারে, সেটা আমরা দেখছি। বিজেপি কিন্তু তৃণমূলের মতো আত্মকলহপূর্ণ দল নয়, রেজিমেন্টেড পার্টি। তাদের একটা আদর্শ আছে। রবীন্দ্রনাথ থেকে অরবিন্দ ঘোষ, কাউকে ছেড়ে দেবে না। সময় বলছে, প্রথম শক্রুকে আগে চিহ্নিত করো।’
রাজ্যে ঘনঘন আসতে দেখা যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের। তাদের আনাগোনার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভাঙছে তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস এবং বাম দল গুলোর ঘর। একের পর এক বেরিয়ে যাচ্ছেন বিধায়ক থেকে সাংসদ, ছাত্রনেতা থেকে যুবনেতা। আবার নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছেন আব্বাস সিদ্দিকী এবং মিম ও। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার যে ডাক কৌশিক সেন দিলেন তা তাৎপর্যপূর্ণ।