খেলা শুরু ত্রিপুরায়! তৃণমূলে যোগ দিলেন ৭ হেভিওয়েট নেতানেত্রী, আসছেন আরো ৩৫ জন

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG_20210730_145156

নিউজ ডেস্ক : বিধানসভা নির্বাচনে প্রত্যাশার অধিক সাফল্য লাভের পর তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে ভিন রাজ্যে নিজেদের সংগঠন মজবুত করতে কাজ শুরু করেছে। লক্ষ্য ২৪ এর লোকসভা নির্বাচন। সেই দিকে নজর রেখে ত্রিপুরায় নিজেদের সংগঠন ঢেলে সাজাচ্ছে ঘাসফুল শিবির। আর এই নতুন যাত্রার শুরুটা খুব ভালো হল তৃণমূলের। প্রাক্তন মন্ত্রী এবং বিধায়ক সহ ৭ গুরুত্বপূর্ন নেতা নেত্রী যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে।

ত্রিপুরায় সংগঠনের কাজ খতিয়ে দেখতে গিয়েছেন ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক, ঋতব্রত ব্যানার্জি, ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং কাকলি ঘোষ দস্তিদার। ব্রাত বসু, মলয় ঘটক সহ তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিতিতেই এদিন ত্রিপুরায় তৃণমূলে যোগ দিলেন বিরোধী শিবিরের ৭ নেতা-‌নেত্রী। বিরোধী শিবির থেকে আগত ৭ নেতা-‌নেত্রীর হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন ব্রাত্যু বসু, মলয় ঘটক, ডেরেক ও’ব্রায়েনরা। বিরোধী শিবির থেকে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন নেতা-‌নেত্রীরা সেই ভিডিও টুইট করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। বিরোধী শিবির থেকে সুবল ভৌমিক, প্রকাশ দাস, ইদ্রিস মিঞা, তপন দত্ত, পান্না দেব, প্রেমতোষ দেবনাথ ও বিকাশ দাস আজ তৃণমূলে যোগ দিলেন। টুইটে মলয় ঘটক লেখেন, ‘‌বিরোধী শিবির থেকে নেতা-‌নেত্রীরা তৃণমূলে যোগ দিলেন সচ্চে দিনের সন্ধানে। আর বিরোধী শিবির থেকে আজ যাঁরা তৃণমূলে যোগ দিলেন তাঁদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি।’‌

রাজ্যে বাম এবং কংগ্রেস তাদের প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে ফেলেছে। তাই বিজেপির অপশাসনের হাত থেকে রেহাই পেতে রাজ্যবাসী নতুন বিকল্পের সন্ধান করছে। তৃণমূল কংগ্রেস সেই বিকল্প হতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে নতুন ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেওয়া নেতা নেত্রীরা কাজ করতে চান বলে তারা জানান। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি, এদিন বিরোধী শিবির থেকে ৪২ জন নেতা-‌নেত্রীর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির জেরে জেলাশাসক এতজনকে এক জায়গায় রেখে অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়নি। তাই এদিন ৭ জনকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ানো হল। বাকিদের পরে যোগদান করানো হবে।

আগামী সপ্তাহে ত্রিপুরায় যাচ্ছেন অভিষেক ব্যানার্জি। আর অভিষেকের ত্রিপুরা সফরকে কেন্দ্র করে আগরতলার তৃণমূল কর্মীদের উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। এমনিতেই গত কয়েকদিন ধরেই ত্রিপুরায় তৃণমূল-‌বিজেপি সংঘাত শুরু হয়ে গিয়েছে। আর স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি নীতি নৈতিকতাকে পাত্তা না দিয়ে অগণতান্ত্রিকভাবে তৃণমূলকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। প্রথমে আইপ্যাকের টিমের সদস্যদের কাজে বাধা দেয় ত্রিপুরার পুলিশ। হোটেলে আটকে দেওয়া হয়। পরে ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক, ঋতব্রত ব্যানার্জিদেরও আগরতলায় এয়ারপোর্টে আটকায় পুলিশ। যা নিয়ে সংঘাত চরমে ওঠে। তৃণমূলের দাবি, ত্রিপুরায় বিজেপির প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন মানুষ। তৃণমূলের প্রতি ভরসা রাখতে চাইছে ত্রিপুরার মানুষ। তাই দলে দলে মানুষ তৃণমূলে যোগ দিতে চাইছে। ত্রিপুরায় বিজেপি এখন তৃণমূলকে ভয় পাচ্ছে । তাই বিজেপি ননা ভাবে চক্রান্ত করে তৃণমূলের কাজে বাধা দিচ্ছে। বিপ্লবের দলের মধ্যেই বাঁধছে চরম গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। শুধু ত্রিপুরায় নয় গোটা উত্তর পূর্ব ভারতেই মোদির দলের অবস্থা আগের থেকে অনেক খারাপ বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর