নিউজ ডেস্ক : আরব আমিরাত সহ গোটা আরব উপদ্বীপের বেশিরভাগ রাজতান্ত্রিক সরকারের স্বৈরশাসকরা আরব বসন্তের পর থেকে নিজেদের তখত বাঁচানোর উপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তার জন্য পশ্চিমা প্রভু শক্তিগুলোর তাবেদারী করতে পিছপা হয় নি কেউ কোনো ক্ষেত্রেই। তাদেরই ইশারায় কোনো মুসলিম দেশের ওপর অমানবিক অবরোধ চালিয়েছে কখনো আবার কোনো মুসলিম দেশের থেকে সুদ সহ ঋণ উসুল করেছে ঋণ তাদের তাবেদারী না করার জন্য। কখনো মুসলিম হত্যার অভিযোগে বিদ্ধ মোদিকে দেশের সর্বোচ্চ সম্মান প্রদান করা আবার কখনো বা মুসলিম বিশ্বের সব থেকে বড় দুশমন ইসরাইলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্যালেস্টাইন তথা পুরো মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা। এরই ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে মুসলিম বিরোধী শক্তি গুলোর নয়া হাতিয়ার আরব আমিরাত প্যালেস্টাইনের সাধারণ শরণার্থীদের জাতিসংঘের দেওয়া ত্রাণ বনধের চক্রান্ত শুরু করেছে তাদের নতুন প্রভু ইসরাইলের সঙ্গে মিলে। জাতিসংঘের একটি সংস্থা UNRWA গত ৭০ বছর ধরে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল তৈরি হওয়ার ফলে শরণার্থী হওয়া মানুষদের সাহায্য করে আসছে।
জনপ্রিয় ফরাসি দৈনিক লে মন্ডের খবরে বলা হয়েছে প্যালেস্টাইনের শরণার্থীদের বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র আমিরাত অনেক আগেই শুরু করেছিল যখন তারা ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন শুরু করার জন্য আলোচনা শুরু করে। ১৯৪৯ সালে তৈরি সংস্থাটি সারাবিশ্ব ব্যাপী প্যালেস্টাইনের শরণার্থীদের আর্থিকভাবে সাহায্য করে। বর্তমানে তারা সিরিয়া,জর্ডান, লেবানন, ইরাক সব বিভিন্ন দেশে প্রায় ৫৩ লাখ প্যালেস্টাইন শরণার্থীদের সাহায্য করে। তবে ২০১৮ সাল থেকে মুসলিম বিদ্বেষী আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইশারায় আরব আমিরাত কমিয়ে দেয় এই সংস্থাটিকে আর্থিক সাহায্য করা। মূলত আরব দেশগুলোর সাহায্যে সেই সময় তৈরি সংস্থাটি এই দেউলিয়া দশার সম্মুখীন। আর তাদের কফিনে শেষ পেরেক মারতে চায় আরব আমিরাতের স্বৈর শাসক শ্রেণী।
ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের সময় আমিরাতের শাসকরা দাবি করেন তারা প্যালেস্টাইনের সাধারণ মানুষকে ইসরাইলের আক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে এই সমঝোতা করেছেন। কিন্তু প্যালেস্টাইন সমস্যার সমাধান করা তো দুরস্ত এখন প্যালেস্টাইনের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে খাড়া হচ্ছে তাদের অমানবিক চেতনা। উল্লেখ্য বেশ কিছুদিন তাদের একটা প্রতিনিধি দল ইসরাইল সফরে গিয়ে ইসরাইলকে মানবতার উর্বরতম ভূমির সার্টিফিকেট প্রদান করে আসে। এই সামগ্রিক ঘটনা প্রবাহে ফের মুসলিম বিশ্বের ক্ষোভের কেন্দ্রে আমিরাতের শাসক শ্রেণী।