নিউজ ডেস্ক : করানো ভাইরাসের প্রভাবে ফুটবল জগতে প্রবল। এর প্রভাব বিশ্বের সব ক্লাবগুলোর উপরেই কমবেশি পড়েছে। কিন্তু স্পেনে জোর আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে কোন ক্লাবকে আর্থিকভাবে সবথেকে বেশি চাপে পড়তে হবে, তা নিয়ে। আর এখানেই জোর চর্চা বার্সিলোনাকে ঘিরে। নামী ক্লাবগুলির মধ্যে আর্থিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় বার্সিলোনা ছাড়াও আছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, ভ্যালেন্সিয়া ও এস্পানিয়ল। ফুটবলারদের বেশি বেতন ছাড়াও রয়েছে ক্লাবের মাথায় ঋণ। বার্সা এখন ব্যস্ত ক্লাবের অ্যাকাউন্টের হিসেবনিকেশ নতুন করে করতে।
লা লিগার ক্লাবগুলির আর্থিক গঠন ও আয়ব্যয়ের হিসেব কাটাছেঁড়া করতে গিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড় দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হতে পারে বার্সিলোনার। কারণ, তাঁদের দলের প্লেয়ারদের বেতন সবচেয়ে বেশি। তবে এই ধাক্কা খানিকটা সামলে উঠতে পারবে বার্সা। কারণ ফুটবলাররা ৭০ শতাংশ বেতন কমানোয় সায় দিয়েছে।
এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে স্প্যানিশ ফেডারেশনের প্রস্তাব। যদি লা লিগা শুরু না করা যায়, তাহলে পরের মরশুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কারা খেলবে? স্প্যানিশ ফুটবল সংস্থা এখনই প্রস্তাব দিয়েছে, যারা এখন প্রথম চার পজিশনে আছে, তাঁদেরই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পাঠানো হবে। সেক্ষেত্রে বার্সিলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ, সেভিয়া, রিয়াল সোসিয়াদাদ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা পাবে। আর ইওরোপা লিগে খেলার যোগ্যতা পাবে গেতাফে, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও অ্যাটলেটিক বিলবাও।
এই প্রস্তাবে তুমুল বিতর্ক। রিয়াল সোসিয়াদাদের সঙ্গে গেতাফের পয়েন্ট সমান, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ মাত্র ১ পয়েন্ট পিছনে। পুরো লিগ হলে এই দুই দলের সামনে সুযোগ থাকবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার। আবার একইভাবে ভ্যালেন্সিয়া, ভিল্লারিয়ালও ইওরোপা লিগে খেলার যোগ্যতা পেতে পারে। লা লিগা সম্পূর্ণ হওয়া বা না হওয়ার উপরেও নির্ভর করছে ক্লাবগুলির আর্থিক ভাগ্য। রিয়াল মাদ্রিদ যেমন করোনার আর্থিক ক্ষতি সামলাতে সবচেয়ে তৈরি। কিন্তু লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ না হলে টিভি সত্ত্ব থেকে আয় সরে যাবে। ফলে ব্যাপক ক্ষতি হবে তাদের।