গাজী সালাহউদ্দীন। স্টাফ রিপোর্টার।
জীবনের এই অনিশ্চয়তার মধ্যে ও থেমে নেই দূর্নীতিবাজ দের দূর্নীতি। করোনা মহামারি নিয়ে ও চলছে চরম জালিয়াতি। সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত দূর্নীতিবাজ সাবরিনা ও আরিফ ডিবি পুলিশের কঠোর রিমান্ডের মধ্যে বলে দিয়েছে তাদের দূর্নীতির মদতদানকারীদের নাম। সাথে বলেছে এর বিনিময়ে তারা কি কি পেত। আর এখন পর্যন্ত ০৮জনের নাম বলেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের রিপোর্টে ডিবি কর্মকর্তারা উল্লেখ করেন, সাবরিনা এবং আরিফের দূর্নীতিতে যারা সহযোগীতা করেছে তাদের মধ্যে সাবেক এবং বর্তমান মিলিয়ে আটজন কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করেছে তারা। এদের মধ্যে একজন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বড় পদধারী কর্মকর্তা,স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২জন অতিরিক্ত সচিব,সাবেক স্বাস্থ্যঅধিদপ্তরের একজন সচিব,হাসপাতাল এবং ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকা একজন স্বাস্থ্যঅধিদপ্তরের পরিচালক আছেন এ তালিকায়, আর এর বাইরে আছে পদধারী আরো ২জন কর্মকর্তা। মহানগর গোয়েন্দাসংস্থা ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার জনাব আব্দুল বাতেন রিপোর্টে বলেন, সাবরিনার ০৫ দিনের রিমান্ডে আমরা জানার চেষ্টা করেছি কোনো প্রকার কাগজপত্র ছাড়া জেকেজির মতো প্রতিষ্ঠান কিভাবে কাজ পেয়েছে।তাদের এ কাজ পেতে কারা কারা সহযোগী ছিল, এর বিনিময়ে তাদেরকে কি দেওয়া হয়েছে,যতটুকু নমুনা পরিক্ষার অনুমতির থেকে বেশি নমুনা পরিক্ষা কিভাবে করেছে। এবং তাদের কোনো প্রকার সনদ দেওয়ার অনুমতি না থাকা স্বত্বে ও কেন এবং কিভাবে তারা এ সনদ দিয়েছে। ডিবি কর্মকর্তা আরো বলেন, সাবরিনা এবং তার স্বামী আরিফ কে প্রথমে আলাদা এবং পরে একসাথো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তাদের কথার ভিন্নতা যাচাই করা হয়েছে। সাবরিনা এবং আরিফ দম্পতি তাদের সকল দূর্নীতির কথা স্বিকার করে নিয়েছে। পাপ ছাড়েনা বাপকে। অপরাধ করলে অপরাধী একদিন ধরা পড়বেই। সেটা শুধু সময়ের অপেক্ষা।
Nbtv.