উত্তরপ্রদেশে সরকারি অনুদানে পরিচালিত মাদ্রাসাগুলোর সুযোগ সুবিধা ও শিক্ষকদের যোগ্যতা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেছেন উত্তরপ্রদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ইফতিখার আহমেদ জাভেদ।
মাইনরিটি ওয়েলফেয়ার মন্ত্রী ধর্মপাল সিংকে লেখা এক চিঠিতে তিনি জানান, মাদ্রাসাগুলোতে এ মুহুর্তে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় কোনো সমীক্ষা চালানো উচিত নয়।
অন্যান্য শিক্ষাবোর্ডের মত মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডেও যেন সময়মত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এ ব্যাপারে তিনি সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন। সামনের লোকসভা নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, সমীক্ষা চালাতে গিয়ে পরীক্ষা নিতে বিলম্প হলে ভোটের কারণে এই বিরতি আরো বেড়ে যাবে।
এর আগে ১ ডিসেম্বর মাইনরিটি ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্টের পরিচালকের লেখা এক চিঠিতে প্রত্যেক ডেপুটি ডিরেক্টকে সরকারি অনুদানে পরিচালিত মাদ্রাসাগুলোর সুযোগ সুবিধা ও শিক্ষককদের যোগ্যতা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়।
চিঠিতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পাঠদানের পাশাপাাশি মাদ্রাসার পাঠদানকে মূলধারায় অন্তভুক্ত করার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। একই সাথে মাদ্রাসার ভবন, সাধারন সুযোগসুবিধাসহ যেসব শিক্ষক পাঠদান করছেন আর অন্যান্য কর্মচারীদের ব্যাপারেও সমীক্ষা চালাতে বলা হয়।
বর্তমানে উত্তরপ্রদেশে ২৫ হাজারে েবেশি স্বীকৃত ও অস্বীকৃত মাদ্রাসা রয়েছে। এর মধ্যে ৫৬০টি মাদ্রাসা সরকারি অনুদান গ্রহণ করে।
সরকারি অনুদান গ্রহণ করা মাদ্রাসাগুলোতে জরিপ চালাতে জেলার মাইনরিটি ওয়েলফেয়ার অফিসার ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে কমিঠি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে।
এর আগে ২০১৭ সালেও এ ধরনের একটি জরিপ পরিচালনা করা হয় যেখানে প্রত্যকে মাদ্রাসাকে তাদের শিক্ষকদের বৃত্তান্তসহ মাদ্রাসার যাবতীয় সকল তথ্য মাদ্রাসা বোর্ডের পোর্টালে আপলোড করতে বলা হয়।