ট্রেনে গুলি করে চারজনকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত আরপিএফ কনস্টেবল চেতন সিংয়ের জামিন আবেদন খারিজ করেছেন মুম্বাইয়ের একটি আদালত।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) অতিরিক্ত দায়রা জজ (দিনদোশী আদালত) এ জেড খান অপরাধটিকে গুরুতর উল্লেখ করে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
মহারাষ্ট্রের পালঘর রেলওয়ে স্টেশনের কাছে চলন্ত ট্রেনে ওই কনস্টেবল সিনিয়র সহকর্মী ও তিনজন যাত্রীকে গুলি করে হত্য়া করেছিলেন। দুটি বগিতে ও প্যান্ট্রি কারে চলন্ত ট্রেনে তিনি গুলি চালান। মৃতদের নাম আব্দুল কোয়াদ্রিভাই মহম্মদ হুসেন ভানপুরওয়ালা( ৪৮), আখতার আব্বাস আলি( ৪৮) ও সাদর মহম্মদ হুসেন। তার সহকর্মী এসকর্ট ইনচার্জ এএসআই টিকা রামকে গুলি করে খুন করেন তিনি।
আদালত জানায়, তিনি হত্যার সময় স্থির মন নিয়ে ছিলেন। তিনি শুধু তার সিনিয়রকে হত্যা করেননি বরং একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের আরও তিনজনকে হত্যা করেছেন।
শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন অভিযুক্ত চেতন সিং।
গত মাসে উকিল অমিত মিশ্র এবং পঙ্কজ ঘিলদিয়ালের তার জামিন আবেদনে দাবি করেন তিনি ইলিউশনে ভুগে এই অপরাধ করেছেন।
পুলিশ তার আবেদনের বিরোধিতা করে বলেশ, নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের প্রতি ক্রোধ ও ক্ষোভ থেকেই তিনি এ অপরাধ ঘটিয়েছেন। তার মধ্যে কোন অনুশোচনা দেখা যায়নি।
তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ ধারায় মামলা করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন) ধারা, অস্ত্র আইনেও মামলা করা হয়।
ট্রেনে তিন মুসলমানসহ এক পুলিশের উপর হামলার একটি ভিডিয়ো সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, চলন্ত ট্রেনে চেতনের পায়ের সমানে পড়ে রয়েছে রক্তাক্ত একটি দেহ। ভিডিয়োতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘যদি ভোট দিতে হয়, যদি হিন্দুস্তানে থাকতে হয়, তা হলে আমি বলি, মোদী এবং যোগী, এই দু’জন রয়েছেন। আর রয়েছেন আপনাদের ঠাকরে।’’ ওই ভিডিয়োর সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি। রেলের তরফে জানানো হয়, ৩১ জুলাই জয়পুর-মুম্বই সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের বি৫ কামরায় প্রথমে আরপিএফ অ্যাসিসট্যান্ট সাব ই