আপনি নিশ্চয়ই অনেক গুহার কথা দেখেছেন বা শুনেছেন, তবে আপনি কি জানেন যে এই পৃথিবীর বৃহত্তম গুহা কোথায় এবং এটি কত বড়? গুহাটি এত বড় যে সেখানে একটি ৪০ তলা বিল্ডিং বানানো যেতে পারে। এই গুহাটির নাম সন ডোং। এটি ভিয়েতনামের জঙ্গলে অবস্থিত।
ভিয়েতনামের মাঝামাঝি এলাকায় এই সন ডোং গুহাটি লুকিয়ে আছে। আট বছর আগে এই গুহাটি সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়। লক্ষ লক্ষ বছর আগে বিদ্যমান একটি ভূগর্ভস্থ গোলকধাঁধা এবং এই গুহাটি এখন মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। এই গুহাটি এত বড় যে এর মধ্যে বানানো যেতে পারে ৪০ তলা বিল্ডিং।
গুহার মোট দৈর্ঘ্য ৯ কিলোমিটার এর মধ্যেই আবার রয়েছে ১৫০ টি গুহা। ঘন অরণ্য এবং অনেক ভূগর্ভস্থ নদী এই গুহার বৈশিষ্ট্য। এই গুহায় বড় বড় বিল্ডিংয়ের মতো পাহাড় রয়েছে। হো মিন এই গুহায় গাইড হিসাবে কাজ করেন। এই গুহার নিজস্ব ইকো সিস্টেম এবং আবহাওয়ার ধরণ রয়েছে যা বাইরের বিশ্বের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা।
এই গুহায় রয়েছে অসংখ্য বাদুড়। গুহাটিকে একটি প্রাকৃতিক আশ্চর্য হিসাবে বিবেচনা করা হয়। যা ২০১৩ সালে পর্যটনের জন্য খুলে দেওয়া হয়। ভিয়েতনামের মধ্য কোয়াং বিন প্রদেশে ১৯৯১ সালে স্থানীয় বনবাসী হো ভ্যান খান প্রথমবার সন ডোং গুহার আবিষ্কার করেছিলেন।
অক্সালিস ট্র্যাভেল নামক একটি কোম্পানি জানিয়েছে, এটি পৃথিবীর যে কোনও গুহার চেয়ে অনেক বড়। নিউইয়র্ক সিটির মতো বড় বড় ৪০ তলা বিল্ডিং নির্মাণ কাজ করার পক্ষে যথেষ্ট।
২০০৯ সালে ব্রিটিশ কেভ রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের গুহাবিদেরা এই গুহায় নেমে রিসার্চ শুরু করেন। ২০১০ সালে তাঁরা গুহার শেষে পৌঁছতে সক্ষম হন। এই গুহার দেওয়ালকে ‘গ্রেট ওয়াল অব ভিয়েতনাম’ বলা হয়। এই গুহা এতই বড় যে, এর মধ্যে একটি বিমানও ঢুকে যেতে পারে।