হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান, পাঞ্জাবি, জৈনের মত ভারতীয় ক্রিকেট স্বয়ং একটি ধর্ম। যে ধর্ম ভুলিয়ে দেয় সকল ভেদাভেদকে। সময় ছিল যখন সাধারন মানুষ মাঠ ভরাতো তার পছন্দের খেলোয়াড়কে দেখবে বলে। অর্থাৎ ম্যাচের চাইতেও খেলোয়ারদের প্রাধান্য ছিল অনেক বেশি। হবে নাইবা কেন, সেরা ১১ তে একই সঙ্গে খেলছেন সেহেবাগ, সাচিন, দ্রাবিড়, সৌরভ, জাহির…, এ যেন চাঁদের হাট।
মেয়েদের অনূর্ধ্ব ১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নজির গড়ল ভারত। যে সময় ভারতীয় পুরুষ দলে চূড়ান্ত টালমাটাল পরিস্থিতি ঠিক সেই সময়ে, ভারতে ওয়ার্ল্ড কাপ নিয়ে আসে, ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলা ব্রিগেড। এ যেন চাতকের তৃষ্ণা নিবারণ।
রবিবার অনূর্ধ্ব ১৯ টি-টোয়েন্টিওয়ার্ল্ড কাপ ফাইনাল ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৯ উইকেটে পরাস্ত করল ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলা দল। জি তৃষা রোববারের ম্যাচে অকল্পনীয় বলিং করে, বিশ্বকাপ ফাইনালে, তিনটি উইকেট নেন। অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ৩৩ বলে ৪৪ রানে নট আউট থেকে, ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ খেতাব জেতেন তিনি।
২০২৫ এ ওয়ার্ল্ড কাপ জিতে পরপর দুবার বিশ্বকাপ জয় করেন তৃষা। গতবার তিতাস সাধুর বিশ্বকাপ জয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়ার ছিলেন তৃষা। এইবার নিকি প্রসাদের নেতৃত্বাধীন ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলা দলে থেকে ওয়ার্ল্ড কাপ যেতেন তৃষা।
তৃষাদের রনং দেহি বোলিং অ্যাটাকের মাঝে কার্যত আত্মসমর্পণ করে দক্ষিণ আফ্রিকার অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলা দল। ভারতীয় মহিলারা প্রথম বল করতে এসে মাত্র ৮২ রানে আটকে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলা দলকে। এরপর কুড়ি ওভারের ম্যাচে, মাত্র ১১.২ ওভারে, ১ উইকেট খুইয়ে ভারতকে বিশ্বকাপ উপহার দেয় অনূর্ধ্ব ১৯ বছর বয়সী মেয়েরা। এ নিয়ে পরপর দুবার বিশ্বকাপ জিতে বিশ্বসেরা ভারত। ম্যাচ শুরু হওয়ার পর থেকেই ক্রমাগত উইকেট পড়ায়, প্রচন্ড চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকার দলের তরফ থেকে ৬ নম্বরে ব্যাট করতে আসা মাইক ফান উর্স্ট ১৮ বলে ২৩ রান করে, দলের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ রান করেন। অপরদিকে ভারতীয় দলে তৃষা মাত্র ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে, দলের সফলতম বোলারের স্বীকৃতি পেয়েছেন।