বৃহত্তর দশগ্রামে পল্লীবিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলে দিশেহারা গ্রাহক

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG-20201005-WA0002

 

রফিকুল ইসলাম মামুন

সিলেট জেলা প্রতিনিধি

পল্লীবিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলে দিশেহারা ও অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন গ্রাহকরা।
সিলেট সদর উপজেলার বৃহত্তর দশগ্রাম এলাকার বিভিন্ন গ্রামের অনেক গ্রাহকই ভুতুড়ে বিলের ফাঁদে পড়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, করোনা পরিস্থিতিতে সরকার জনগণের সুবিধার জন্য বিলম্বফি ছাড়া তিনমাসের বিদ্যুৎ বিল একসাথে পরিশোধের সুযোগ দেন। এসময় মিটার রিডাররা বরাবরের মতো রিডিং না দেখেই কমিয়ে বিল তৈরি করেন। এখন হঠাৎ করে রিডিং বাড়িয়ে বিল তৈরি করায় গ্রাহকদেরকে কয়েকগুন বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে। আর এই অতিরিক্ত বিলের টাকা যোগাড় করতে গ্রাহকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

আমানতপুর (নোয়াগাঁও) নিবাসী জসিম উদ্দিন জানান, নিয়মিত বিল হলে যেখানে ৪০০/৭০০ টাকা বিল আসে সেখানে একত্রে বিল করায় গড়ে প্রতিমাসে ২৫০০ টাকারও বেশি বিল এসেছে। উপকার করতে গিয়ে এখন আমাদের গলায় ছুরি চালানো হচ্ছে কেন?

দশগ্রাম বাজারের ব্যবসায়ী মোহন মিয়া জানান, সারা বছরই মিটার রিডাররা অফিসে বসে বিল তৈরি করেন। বছরে দু/তিনবার হঠাৎ করে রিডিং বাড়িয়ে ভুতুড়ে বিল তৈরি করে গ্রাহকদের নিকট থেকে অতিরিক্ত টাকা লুটে নেন। নিয়মিত বিল করলে আমাদের ৪-৬ টাকা/ইউনিট বিল আসতো সেখানে ১১.৪৬ টাকা/ইউনিট বিল এসেছে। আমাদেরকে দ্বিগুণ/তিনগুণ বিল গুনতে হচ্ছে। এই ডাকাতি বিদ্যুৎ অফিসের লোকেরা কার স্বার্থে, কেন করছেন? এগুলো দেখার কি কেউ নেই? তবে মৌখিকভাবে অভিযোগ করা হয়েছে।

ব্যবসায়ী আব্দুল বাছিত জানান, গত ৩ মাসে বিল এসেছে ১৭০০ টাকা আর এই মাসে এসেছে ১০০০ টাকা। একত্রে বিল দেওয়ায় আমাদের কয়েকগুন বেশি বিল গুণতে হচ্ছে। মানুষ স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে এই অযৌক্তিক, মনগড়া অতিরিক্ত বিল কিভাবে পরিশোধ করবে?

এভাবে অনেক গ্রামেই পল্লীবিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলের খবর পাওয়া গেছে। গ্রাহকগণ সঠিকভাবে বিল তৈরির দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে সিলেট পল্লীবিদ্যুত-২ এর অফিসে অনেকজন বারবার ভুতুড়ে বিলের ব্যাপারে অভিযোগ প্রদান করলেও শুধুমাত্র শান্তনার বাণী শুনানো হয় বাস্তবে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে গ্রাহকবৃন্দ জানিয়েছেন।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর