হাফসা জান্নাত, স্টাফ রিপোর্টার।
দীর্ঘ ২০ বছর রিকশা চালিয়ে সঞ্চয় করা টাকায় ক্লিনিক খুলে বিলিয়ে দিয়েছেন আর্ত মানবতার সেবায়। এমন আলোকিত মানুষগুলোর জন্যই হয়তো আমরা হাজারো হতাশা, দুঃখ-গ্লানির ভিড়েও আশার আলো দেখতে পাই। কতজনই বা পারে নিজের জীবন অন্যের জন্য উৎসর্গ করতে!
কোন এক ঝড়ে হঠাৎ বাবাকে হারান তিনি। সবথেকে কাছের হাসপাতাল ২০ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় চিকিৎসা দিতে পারেন নি বাবাকে। ৩০ বছর আগে চোখের সামনে নিরবে চলে যেতে দেখেছেন বাবাকে।
এরপর ত্যাগ-তিতিক্ষার ২০ বছর রিকশা চালিয়ে তার কষ্টার্জিত টাকা জমে প্রায় ৪ লাখ। কেউই বিশ্বাস করে নি তিনি যখন এই টাকা নিয়ে গ্রামে ফিরলেন।
হাজারো উপেক্ষা, বাঁধা বিপত্তি পাড়ি দিয়ে এক টুকরো জমি কিনে অবকাঠামো দাঁড় করাতে সক্ষম হলেও এলাকাবাসীর উপহাস-বিদ্রুপের ফলে তার এ ছোট ক্লিনিকে ডাক্তার আসতে চায় নি।
তবুও থেমে নেই তিনি। ধীরে ধীরে ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু হয়। ফ্রি চিকিৎসার কথা শুনে কাছের দূরের অনেক রোগী আসতে থাকে। কোন রোগীর অবস্থা শোচনীয় হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল বা টাউনের বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার করা হয়। এভাবেই চলতে থাকে তার ক্লিনিক। প্রতিদিন প্রায় ১০০ জন রোগী আসতে থাকে।